মাস্ক, গ্লাভস পরে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে সাংসদরা

করোনা মহামারিতে সামাজিক যোগাযোগ নিশ্চিতে দেশে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীসহ অধিবেশনে যোগ দেওয়া সব সদস্যই মুখে মাস্ক ও হাতে পরেছেন। অনেকের মাথায় সার্জিকাল টুপিও দেখা গেছে।

শনিবার বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছে। সংসদ অধিবেশনে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। মাস্ক-গ্লাভস পরে সাংসদরা যোগ দেওয়ায় পুরো অধিবেশনের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। এ এক অভূতপূর্ব ঘটনা।

শুরুতেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও অধিবেশন আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যা করেন স্পিকার। সম্ভাব্য সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর পরপরই স্পিকার নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংসদ অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন।

পরে তিনি সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনয়ন দেন। এ অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ, এ বি তাজুল ইসলাম ও মেহের আফরোজ চুমকি। স্পিকার- ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে এদের মধ্যে অগ্রবর্তীজন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে একজন থেকে আরেকজনের ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তুলনামূলক কম সংখ্যক সদস্য অধিবেশনে অংশ নেন। অন্যবারের মতো এ অধিবেশনে এমপিদের কাউকেই হাত হাত মিলিয়ে সৌহার্দ্য বিনিময় করতে দেখা যায়নি।

কোরাম পূর্ণ (ন্যুনতম ৬০ জন সদস্য সংসদ) হওয়ার পরপরই অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশনে সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং ঢাকার বাইরে অবস্থানকারী সংসদ সদস্যদের উপস্থিত হতে আগেই নিরুৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও সংসদে উপস্থিত থেকে সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থাকে অনুরোধ জানানো হয়।

সংসদে প্রবেশের সময় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় বলেও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বৈশাখী নিউজবিসি