লকডাউনে আপনার শিশুটি যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে না তো ?

সময়: 10:43 am - April 18, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 3 বার

বিশ্বজুড়ে ‘লকডাউন’ সুযোগ সন্ধানীদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরী করেছে, তাই আপনার সন্তান যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে। বিশ্বের মায়েদের এভাবে সতর্ক করলেন ভুক্তভোগী এক মা। যার সন্তানরা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলো। বর্তমানে তিনি যৌন হয়রানি থেকে শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করা একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

‘ফ্রিডম ফ্রম অ্যাবিউজ’ এর প্রতিষ্ঠাত ম্যারিলিন হস মায়েদের ও শিশু লালন-পালনকারীদের শিখান কিভাবে তাদের সন্তানকে যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা দেবেন। কারণ তার তিন ছেলেও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে। যিনি তার পরিবারের একজন বন্ধুও ছিলেন। ম্যারিলিন বলেন, ‘এই লকডাউনে অনেক শিশুর জন্যই নিজের বাড়ি অনিরাপদ। বর্তমানে শিশু যৌন হয়রানির ৩০ শতাংশই হয় সমবয়সীদের দ্বারা। যদি আপনার শিশু নিজের কক্ষে একা থাকতে চায় এবং অন্য কোন শিশুকে জায়গা দিতে না চায় তবে সেটি মেনে নিন এবং তাকে জিজ্ঞেস করুন কেন? যারা যৌন আচরণে অনেক বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তারা সমবয়সীদের সঙ্গেও একই কাজ করে। শিশুদের একটি খেলা সম্পর্কে আমরা জানি। আর তা হচ্ছে- তোমারটা আমাকে দেখাও, আমারটা তোমাকে দেখাব- সুতরাং তাদের খেলার সীমারেখা কতটুকু হবে তা আপনি নিশ্চিত হোন।

তিনি বলেন, ‘শিশু যৌন নির্যাতনের ৬০ শতাংশই তার পরিবারের মধ্যে হয়ে থাকে। সুতরাং এ বাস্তবতা উপক্ষো করবেন না, শিশুতে আসক্ত অনেক নারীও রয়েছে। কারো আচরণ সঠিক মনে না হলে কিংবা বাড়াবাড়ি কিছু দেখলে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। হয়তবা সে হতে পারে আপনার সন্তানের যৌন হেনস্থাকারী। কেউ যদি আপনার সন্তানকে অধিক পছন্দ করে, তার জন্য গিফট নিয়ে আসে, তার সঙ্গে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে চায়। তার সঙ্গে খেলায় বেশি সময় কাটায়, চুমু দিতে চায় কিংবা তাকে একাকী কক্ষে নিয়ে যায়। তবে অবশ্যই তার ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। কিংবা দেখুন আপনার সন্তান কাউকে বেশি অপছন্দ করে কিনা, তাহলে আপনার সন্তানদের তার কাছ থেকে দূরে রাখুন।’

অনলাইন যৌন হেনস্থার বিষয়েও সতর্ক করে ম্যারিলিন বলেন, ‘ইন্টারনেট শিশু-কিশোরদের যোগাযোগের জন্য নয়। আপনার ডিভাইসটি শিশুর নাগালে রাখবেন না, ওয়েবক্যামটি ঢেকে রাখুন।’ এনএসপিসিসি’র অ্যান্ডি বুরোস বলেন, ‘অপরাধীদের জন্য একটি অনুকূল সুযোগ এনে দিয়েছে লকডাউন। তারা শিশুদের যৌন নির্যাতন করতে পারে। সামাজিক মাধ্যম ও গেমিং সাইটগুলোও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং সন্তানদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন, তারা কি করছে নিশ্চিত হোন।’

সূত্র: দ্যা কমেট ডটনেট

বৈশাখী নিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর