করোনা ইস্যুতে মুখ খুললেন উহান গবেষণাগারের পরিচালক

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার অভিযোগ করেছে, ভাইরাসটি চীনের উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়ে গেছে।

তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মত পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানিরা বলেছেন, এ ব্যাপারে উহান গবেষণাগারের কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানিদের স্পষ্ট অবস্থান জানানো দরকার।

এবার উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির  পরিচালক জানিয়েছেন, গবেষণাগারে বাদুড়ের তিন ধরনের করোনাভাইরাস রয়েছে ঠিকই, তবে সেসব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়া কভিড-১৯ এর সঙ্গে মেলেনি।

বিজ্ঞানিরা মনে করছেন, বাদুড় থেকেই মানুষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যরা যে অভিযোগ করছেন, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির  পরিচালক মনে করেন- সেসব পুরোটাই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

গত ১৩ মে তিনি এসব কথা বলেছেন। তবে সিজিটিএন সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে গতকাল শনিবার রাতে।

পরিচালক ওয়াং ইয়ানয়ী বলেন, গবেষণাগারটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। তবে সেখানে বাদুড় থেকে তিন ধরনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো কভিড-১৯ এর সঙ্গে মেলেনি।

আর গবেষকদলের প্রধান প্রফেসর শি ঝেংলি ২০০৪ সালের দিকে বাদুড়ে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। ওয়াং ইয়ানয়ী বলেন, আমরা জানি সার্স করোনাভাইরাস-২ এর জিন কেবল ৮০ শতাংশ সার্স-এর সঙ্গে মিলেছে। এটা অবশ্যই আলাদা। প্রফেসর শি ঝেংলি অনেক আগে গবেষণা করেছেন। তার গবেষণাও আলাদা। তাকে এ ব্যাপারে জড়ানো ঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি।

গবেষণাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উহানে অজানা ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি জানার পর ৩০ ডিসেম্বর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২ জানুয়ারি সেই ভাইরাসের জিনের বৈশিষ্ট জানায় গবেষণাগারের গবেষকরা। নমুনা সংগ্রহের আগে ল্যাবে এ ধরনের ভাইরাস ছিল না।

তিনি আরো বলেন, এমনকি অন্যদের মতো এই ভাইরাসের ব্যাপারে আমরাও জানতাম না। যদি এটি আমাদের গবেষণাগারে না থেকে থাকে, তাহলে সেই গবেষণাগার থেকে কিভাবে এটি ছড়িয়েে যাবে?

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ওয়াশিংটন যে ধরনের অভিযোগ করেছে, তার কোনো প্রমাণ নেই।

সূত্র : টেলিগ্রাফ

বৈশাখী নিউজজেপা