সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির সেনাবাহিনীকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ মে) আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই নির্দেশ দেন। যদিও শি জিনপিং সেই সময় কোন দেশের নাম উল্লেখ করেনি।

লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই তিনি এ নির্দেশ দিলেন।

তবে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের বাতাবরণে শি’র বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি।

‘জিনহুয়া নিউজ এজেন্সি’র বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

শি জিনপিং বলেন, সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি। চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তরেখায় তৎপর রয়েছে ভারত। তাদের দাবি, ভারত বরাবরই সীমান্তের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে এও জানিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত কয়েক দিন ধরেই লাদাখ ও উত্তর সিকিমের সীমান্তরেখায় ভারত ও চীনের সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই বাড়ছে।গত ৫ মে ২৫০ চীনা সেনা ও ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকেই পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে।

ওইদিন ভারতীয় ও চীনা সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল লোহার রড, লাঠি নিয়ে। এমনকি পাথর ছোড়াও হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন উভয়পক্ষের সেনারাই।

প্রসঙ্গত লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ। প্রায় তিন হাজার ৪৮৮ কিলোমিটারজুড়ে চীন-ভারত সীমান্ত অবস্থিত।

দিল্লির দাবি, ২০১৫ সাল থেকে চীনা সেনারা দফায় দফায় ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃত সীমান্ত রেখা লংঘনের ঘটনা ঘটেছে চারটি জায়গা দিয়ে। এর মধ্যে তিনটি অবস্থিত পূর্ব লাদাখে ও একটি পশ্চিম সেক্টরে।

বৈশাখী নিউজজেপা