ফ্রোজেন ফুডে ৩ মাস টিকে থাকতে পারে করোনা!

বর্তমান যুগের কর্মব্যস্ততায় ‘রেডি টু কুক’ বা ‘রেডি টু ফ্রাই’ জাতীয় প্যাকেটজাত ‘ফ্রোজেন ফুড’-এর চাহিদা বাড়ছে সর্বত্রই। ফ্রিজ থেকে প্যাকেট বের করে ঝটপট ভেজে ফেলা বা ফ্রোজেন মাছ বা মাংস চটজলদি রেঁধে ফেলার সুবিধার কারণেই এসব ফুডের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু এই ফ্রোজেন ফুডে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি সময় টিকে থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন একদল বিজ্ঞানী।

সম্প্রতি চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজেস প্রিভেন্সন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ প্রধান ও মহামারী বিশেষজ্ঞ উয়ু জুনইউ জানান, প্যাকেটজাত ফ্রোজেন ফুডে করোনাভাইরাস প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে! এর অনেক আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে করোনাভাইরাস প্রায় ২ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

এরপর একাধিক পরীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুয়ায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রায় (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) করোনার প্রায় সমগোত্রীয় মার্স-কোভ ভাইরাস প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, রান্নার ক্ষেত্রে বেশির ভাগের গড় তাপমাত্রা থাকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও বেঁচে থাকতে পারে কোভিড-১৯! তাই করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন ফুড এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

তবে এ বিষয়ে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জিন ডং-ইউন জানান, করোনা সংক্রমিত খাবার খেলেই যে ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন বা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রমাণ এখনও হাতে পাননি বিজ্ঞানীরা।

এদিকে ইসরাইলের বিশিষ্ট ক্রান্তীয় রোগ বিশেষজ্ঞ এয়াল লেশেম বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি কাঁচা বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সংস্পর্শে এলে তবেই এই ভাইরাস ওই সব খাবারে সংক্রমিত হতে পারে। আর করোনা সংক্রমিত খাবারের সংস্পর্শে এলে কোনও না কোনভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সূত্র: জি বাংলা নিউজ

বৈশাখী নিউজজেপা