ভারতে করোনার গুরুতর রোগীকে গ্লুকোকর্টিকয়েডস প্রয়োগ

মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ভারতে। তাই গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে গ্লুকোকর্টিকয়েডস ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অসুস্থ করোনা রোগীদের মৃত্যুহার কমাতে এই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, আক্রান্তের শরীরে দ্রুত অক্সিজেন কমতে থাকলে কিংবা করোনা সংক্রমণে একাধিক অঙ্গ বিকলের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে তিন থেকে পাঁচ দিনের জন্য গ্লুকোকর্টিকয়েডস ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। আজ করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

দেশটিতে লাগাতার সংক্রমণ বাড়লেও, আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দাবি করেন ভারতে মৃত্যুহার মাত্র ৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই ৫৮ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেও গিয়েছেন।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃত্যু হার কমাতে গ্লুকোকর্টিকয়েডস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্ট বা ভেন্টিলেশনে থাকা ব্যক্তি অথবা ফুসফুসের প্রদাহ কিংবা একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া রুখতে ওই ওষুধ তিন থেকে পাঁচ দিন স্বল্প পরিমাণে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তবে মন্ত্রণালয় সতর্কবাণী দিয়ে রেখেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি মাত্রায় ওই ওষুধ দেওয়া হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। রোগীর সুস্থ হতে সময় বেশি লাগবে, এটা মানতে হবে। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্লুকোকর্টিকয়েডস ওষুধ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ভারতে ১৮ হাজার ৫২২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৫৩ জনে। গত এক দিনে মারা গেছেন ৩৮৪ জন। এ পর্যন্ত ভারতে করোনায় মারা গেলেন ১৫ হাজার ৬৮৫ জন।সূত্র : আনন্দবাজার

বৈশাখী নিউজজেপা