বাজেটের কপি ছেঁড়া সংসদের প্রতি চরম অবমাননা: ওবায়দুল কাদের

আপডেট: July 2, 2020 |

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের বাজেট প্রত্যাখ্যান করার নামে সংসদ ভবনের সামনে কপি ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এটি মহান সংসদের প্রতি চরম অবমাননা।’

সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) বিকেলে সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি তাদের শপথ ভঙ্গেরও শামিল। জাতির এই ক্রান্তিকালে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এই বাজেটের প্রেক্ষাপট, বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ দেশীয় বাস্তবতা, করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এদেশের মানুষের জন্য তার সরকারের নানামুখি উদ্যোগ ও সহায়তা এবং বাংলাদেশকে একটি সুখি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে তার নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।’

দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই পেনডেমিকের সময়ই আমাদের বাজেট প্রণয়ন করতে হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের আর্থিক বছরের গণনা আমাদের চেয়ে ভিন্ন হওয়ায় (যেমন: জানুয়ারি টু ডিসেম্বর, এপ্রিল টু মার্চ, অক্টোবর টু সেপ্টেম্বর) তাদের এই সময়ে বাজেট করতে হয়নি। করোনার এই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দু’একটি দেশসহ (যেমন: পাকিস্তান) পৃথিবীর অনেক দেশে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’

করোনা পরবর্তী সামগ্রিক বিষয় বিশ্লেষণ করে বাজেট প্রনয়ণ করা হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিকে সম্পূর্ণভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে সংকটকালীন ও সংকট পরবর্তী সম্ভাব্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার গতিপথ নির্ণয়ের লক্ষ্য সামনে রেখেই করা হয়েছে এবারের বাজেট। এটি জীবন-জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা সরকারের সময়োচিত সাহসী চিন্তার ফসল।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা ও কর্মোদ্যোগ বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট, ফোর্বস, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামসহ অন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। ’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতের ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এই প্রণোদনা প্যাকেজ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ, যা জিডিপি’র ৩.৭ শতাংশ।’

আগামী অর্থবছরে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের হার আগের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বৈশাখী নিউজফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর