অস্ট্রেলিয়া থাকা সন্তানদের অপেক্ষায় রামেক হিমঘরে এন্ড্রু’র মরদেহ

সিঙ্গাপুরে টানা ৯ মাস চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরলেও মরনব্যাধি ক্যানসার কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীকে এন্ড্রু কিশোরকে বাঁচতে দিল না। শিল্পীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার দুই ছেলেমেয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তারা দেশে আসার পর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন কবর স্থানে এন্ড্রু কিশোরকে সমাহিত করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা প্রয়াত শিল্পীর ছেলে এন্ড্রু সপ্তক ও মে‌য়ে এন্ড্রু সঙ্গাকে বাবার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তারা দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশেষ ফ্লাইটের টিকিট পাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য। সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন এন্ড্র কিশোরের দুই সন্তান। টিকিট পাওয়ামাত্রই তারা দেশে ফিরবেন।

সোমবার রাত ১০টার দিকে ছেলেমেয়ের দেশে ফেরার অপেক্ষায় এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রামেক হাসপাতালের হিমঘরে নেয়া হয়েছে। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে তার মরদেহ ঢাকা আনা হচ্ছে না।

শিল্পীর বোনজামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। তার সেই ইচ্ছে পূরণেই রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল সংলগ্ন কবর স্থানে মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে তাকে কখন দাফন করা হবে সে সময় এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

শিল্পীর শেষকৃত্য প্রসঙ্গে ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, শিল্পীর ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া করেন। তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। দেশে ফেরার জন্য তারা বিমানের টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে তারা দেশে ফিরবেন। এ কারণে মরদেহ রামেক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আমরা শিল্পীর ছেলে-মেয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি।

বৈশাখী নিউজজেপা