ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যু ৬৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে আবারও সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। এতে করে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। অপরদিকে, এবার ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। শুরু থেকে তিনি করোনাকে পাত্তা দেননি, এমনকি জনসাধারণকে লকডাউনেরও আওতায় আনতে নারাজ ছিলেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে থাকে। ফলে এখন পর্যন্ত পৌনে ১৭ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে ভুগছেন। যদিও আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

তবে শুধু ব্রাজিল নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে। ঘটছে প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ। এতে করে করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৫৮৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ১ হাজার ৩১২ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৮৬৮ জনে ঠেকেছে। আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে প্রাণহানি ততটা বেশি না হলেও সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত ৩ লাখ ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। যেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১১ হাজার মানুষের।

এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতেও সংক্রমণ ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪৩৪ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।

আর ব্রাজিলের পথেই হাটা মেক্সিকোয় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ হাজার মানুষ।

বৈশাখী নিউজজেপা