ভারতে একদিনেই অর্ধলক্ষ শনাক্ত, মৃত বেড়ে ৩০ হাজার

সময়: 3:59 pm - July 24, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 5 বার

ভারতে করোনা রোগী শনাক্তের হার এবার চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের মাঝে। দেশটিতে গত একদিনে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের মাঝে ভাইরাসটির সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। পাশাপাশি এদিন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে প্রাণহানিতে ফ্রান্সকেও টপকে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। তবে, সুস্থতা লাভ করেছেন দুই তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী।

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৩১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।

অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৪০ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬০১ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।

এদিকে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৭ হাজারে ৫০২ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৪ জনের। গত ১৩ জুলাই থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।

রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৭৪৫ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।

তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ২৩২ জনের।

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৬০১ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৮ লাখ ১৭ হাজার ২০৮ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ১৩৫ জন।

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর