‘হে আল্লাহ, সারাবিশ্বকে করোনামুক্ত করে দিন’

দুঃসময়ের আঁধারে প্রত্যাশার আলো নিয়ে এসেছে ঈদুল আজহা। স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতার মধ্যেই ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন মুসল্লিরা। করোনার কারণে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ এবারও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে হচ্ছে না ঈদের নামাজ।

শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনামুক্তিসহ মানবজাতির কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত শেষে মোনাজাতে করোনামুক্তির আকুতি জানান জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান।

মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব ও বাংলাদেশজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাতে সবার গুনাহ মাফ ও মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব শান্তির জন্য দোয়া করা হয়।

এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

সদ্য প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মাগফিরাত এবং জামাতে উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। মোনাজাত শেষ হয় ৭টা ২৬ মিনিটে।

এর আগে সকাল থেকেই মাস্ক পরে মুসল্লিরা দলে দলে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নেয়ার জন্য বায়তুল মোকাররমে আসেন। নির্ধারিত সময় সকাল ৭টায় নামাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ৭টা ৮ মিনিটে।

মসজিদে প্রবেশের আগে আগতদের মাস্ক চেক করে গেটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। নামাজের জন্য মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফাঁকা ফাঁকা হয়ে বসতে দেখা যায়।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারও জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ হয়নি।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার নামাজের জামাতও খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায়ের আহ্বান জানায় সরকার।

এছাড়া ঈদের নামাজের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। প্রত্যেককে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

করোনার সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। এছাড়া মসজিদে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরেতে হবে।

গত ১৪ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঈদের জামাত নিয়ে এ সব নির্দেশনা দেয়া হয়।

বৈশাখী নিউজজেপা