চুয়াডাঙ্গায় আরও ৭১ জন করোনায় আক্রান্ত
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও ৭১জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্ডন্ত ৩৭৩ জন সুস্থতা লাভ করেছেন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।
বুধবার (৫ অাগস্ট) রাত ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে নমুনা প্রদানের এক সপ্তাহ পরে রিপোর্ট আসায় আক্রান্ত অনেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন অবাধে। ফলে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে দ্বায় নিচ্ছেন না কেউই। ফলে সচেতন মহলের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ জনের নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৩৭, আলমডাঙ্গায় ১৯, জীবননগরে ১৩ ও দামুড়হুদা উপজেলায় ২ জন। নতুন আক্রান্তরা হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত সদর উপজেলায়। যেখানে ৩৮৩ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে, এর মধ্যে ১১৬ জনই সুস্থ হয়েছেন। প্রাণ গেছে ৪জনের।
আলমডাঙ্গায় আক্রান্ত ১৬৪ জনের মধ্যে সুস্থ ১১০ জন। মারা গেছে ৩জন। দামুড়হুদায় ১৩৮ জন আক্রান্তে ইতিমধ্যেই ৯৯ জন বেঁচে ফিরেছেন ও মারা গেছে ৪ জন। জীবননগর উপজেলায় করোনার শিকার ৭৪ জন, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন।
গত ১৯ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন আলমডাঙ্গা উপজেলার ইতালিফেরত এক যুবক।
সিভিল সার্জন এ এস এম মারুফ হাসান বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় ঘর থেকে বের না হওয়ায় সব থেকে উত্তম। এরপরও জরুরি প্রয়োজনে বের হলে মুখে মাস্ক পরে বের হতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈশাখী নিউজ/ জেপা