‘বাংলা-ইংরেজি জানলেই হবে না, ফরাসি-জার্মান-চাইনিজ ভাষাও শিখতে হবে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণদের কেবল বাংলা বা ইংরেজি জানলে হবে না, এর সঙ্গে ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশ এবং চাইনিজ ভাষাও শিখতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সভায় যুক্ত হন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গবেষণা আরও বাড়াতে বলেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তরুণদের বেশি করে বিদেশি ভাষা শেখার তাগিদ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তরুণদের কেবল বাংলা বা ইংরেজি জানলে হবে না। এর সঙ্গে ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশ এবং চাইনিজ ভাষা শিখতে হবে। তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ বেশি বেশি পেতে সুবিধা হবে।

একনেক বৈঠকে ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ক্যাপাসিটর ব্যাংক স্থাপন এবং স্মার্ট গ্রিড ব্যবস্থার প্রবর্তন প্রকল্পসহ মোট পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা,বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ২ কোটি ৪২ লাখ এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল ব্যয় করা হবে ৮২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন কাজ হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া।

তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো- বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও বেশি আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।’

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্ত্তী ডিপিডিসির প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ডিপিডিসির এলাকায় ১ লাখ ১৫ হাজার অতিরিক্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিকদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোনো কোনো সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ সিনেমা হলকে বিপণিবিতানে রূপান্তরিত করেছেন। এখন ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হল মালিক যদি আবার হল চালু করতে চান বা তার সিনেমার হলের ব্যবসার উন্নয়ন ঘটাতে চান তাহলে তাকে এই তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া যাবে।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে- কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন স্টোর স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।- বাসস

বৈশাখী নিউজইডি