ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেল পাকিস্তান

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ম্যানচেস্টারে মঙ্গলবার রাতে জয়ের জন্য শেষ বলে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৬ রান। কিন্তু হারিস রউফের ইয়র্কার ব্যাটে-বলে করতে পারেননি স্ট্রাইকে থাকা টম কারেন। ফলে ৫ রানে জিতে সিরিজ বাঁচিয়েছে পাকিস্তান।

শেষ পর্যন্ত তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শেষ হলো ১-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতেছিল ইংলিশরা। আর শেষ ম্যাচটা জিতে ইংল্যান্ড থেকে অন্তত সুখ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারছে বাবর আজমরা।

শেষ টি-টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে মঈন আলীর দানবীয় ব্যাটিং সত্ত্বেও ১৮৫ রান করে থেমে যায় ইংলিশরা।

১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেই মাত্র ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। ওপেনার বেয়ারস্টোককে শূন্য রানে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। পরে দলীয় ২৬ রানে ফেরেন ডেভিড মালান (৭)। দলকে চাপে রেখে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক ইয়ন মরগানও। দলীয় ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও মইন আলির ৩৩ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান মইন। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

ওয়াহাবের ওই ওভারটিকেই আসলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলতে হবে। শেষ ২ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ১৯তম ওভারে ওয়াহাব বল হাতে মাত্র ৩ রান দিয়ে নিয়ে ২ উইকেট তুলে নিলেন। তাই শেষ ওভারে ১৭ রানের কঠিন সমীকরণ দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। দুই নতুন ব্যাটসম্যান কারেন ও আদিল রশিদ তা করতে পারেননি। ফলে ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ড।

মইনের ৬১ ছাড়াও ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন টম ব্যান্টন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ওপেনার ফখর জামানকে (১) হারায় পাকিস্তান। পরে দলীয় ৩২ রানে মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক বাবর আজম। এরপরই শতরানের জুটি গড়েন ১৯ বছর বয়সী হায়দার আলী এবং ৩৯ বছরের হাফিজ। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করে ক্রিস জর্ডানের বলে বোল্ড হন হায়দার। সতীর্থকে হারালেও ইনিংসের শেষ পযর্ন্ত লড়ে যান হাফিজ।

এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ৫২ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। যার মধ্যে ৪টি চারের পাশাপাশি ৬টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। হাফিজকে সঙ্গ দেন শাদাব খান (১৫) এবং অপরাজিত থাকা ইমাদ ওয়াসিম (৬)। শেষপর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন জর্ডান। বাকি দুই উইকেট ভাগাভাগি করেন মঈন ও কারেন।

ম্যাচ এবং সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ।

বৈশাখী নিউজজেপা