বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত ঝালকাঠি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে কবি রজনীকান্ত সেনের কাল জয়ী কবিতার সেই বাবুই পাখির বাসা। শুধু বাবুই পাখি নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আর এ দু:সময়ে বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঝালকাঠি সদর উপজেলর নৈকাঠি, কৃত্তিপাশা, নবগ্রাম ও নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ গ্রাম। প্রকৃতির অপরুপ শিল্পের কারিগর বাবুই পাখির বাসা বাতাসে দুলছে এই গ্রাম গুলোতে। গ্রামগুলোর তাল-নারিকেল, পাখুরির গাছে গাছে দেখা মিলছে বাবুই পাখির শৈল্পিক অট্টালিকা।

পাখি প্রেমিক আল-আমিন বলেন, প্রাচীন বৃক্ষ নিধন, ফসলে কীটনাশক ব্যবহার আর জলবায়ুর পরিবর্তনে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে পাখির সংখ্যা। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও সাহিত্য।

তিনি বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশ অসুস্থ হচ্ছে আর উৎপাদন খরচ বাড়ছে কৃষিতে। তিনি বলেন, পোকা দমন ও পরিবেশ সুস্থ রাখতে পাখির ভূমিকা উল্লেখ্য করার মতো।

এছাড়াও পাখি নিয়ে কবি সাহিত্যকরা রচনা করেন গান-কবিতা-গল্প ও ছড়া। কিন্তু আজ বৈষ্মিক উষ্ণতায় হারিয়ে যাচ্ছে জীব বৈচিত্র।

অপর দিকে আরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ফসলে অতিরিক্তি কীটনাশক ব্যবহার, নির্বিচারে পাখি হত্যা, প্রাচীন বৃক্ষ নিধন ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে না পাখির। তাই দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে পাখি।

ঝালকাঠি সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার বলেন, হরিপুরে প্রাচীন ও উচু গাছের আধিকতার কারণে এই উপজেলায় পাখির সংখ্যা উল্লেখ করার মত।