টাকলা ক্রিকেটার অমির কাণ্ড

 

ফারজানা শারমিন: ওই টাকলা বল করছিস না কেন? ওই টাকলা ক্রিকেটার বল কর।তোর জন্য ব্যাট হাতে কতক্ষণ রোদে দাড়িয়ে থাকব? – বলে চিৎকার জুড়ে দিলো রানা ভাইয়া।পাশে থাকা একই এলাকার রাজু,  হিমেল অন্যান্য ছেলেরা হাসাহাসি শুরু করে দিল আসে পাশে থেকে স্কুলের ছেলেরাও চিৎকার করে বলে উঠল – ‘টাকলা ক্রিকেটার তাড়াতাড়ি বল কর’।একথা শুনে অমির খুব রাগ হচ্ছিল।ইচ্ছা করছিল কাছে গিয়ে সবগুলোর মুখে একটা ঘুষি লাগিয়ে দিতে।সমবয়সী রাজু, হিমেল হলে এতক্ষণে ঠিকই এক ঘুষি লাগিয়ে। অমি মোটেও কু-কথা হজম করার ছেলে না।একথা ওকে যারা চেনে তারা জানে।

কিন্তু রানা তামিম, লাবিব সবাই অমির চেয়ে দুই তিন বছরের  বয়সে বড়। অমি পড়ে ক্লাস থ্রিতে। আর রানা টামিম,লাবিবরা পড়ে ক্লাস ফাইভে। একই স্কুলের ছাত্র ওরা।সবাই কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশুনা করে। শুধু তাই নয় পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, সদরঘাট এলাকায় সবাই থাকে। স্কুলের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে  এমন কি বন্ধের দিন ও সন্ধ্যা হওয়ার আগ পর্যন্ত হেড মাস্টার স্কুলের ছেলেদের খেলাধুলা করার অনুমতি দিয়েছেন।

তাই স্কুলের ক্লাস শেষ  হয়ে যাওয়ার পরে অথবা বন্ধের দিন স্কুলের খেলা পাগল ছাত্ররা বল ক্রিকেট ব্যাট  নিয়ে হাজির হয়।  অমি রাগ সংবরণ করে রানা কে বলে- ভাইয়া বল করছি। একটু দাঁড়ান ,পায়ের রগে টান লেগেছে ব্যথায় বল করছিলামনা।

মনে মনে বলে – আমি তোকে আউট করবই এই ওভারে। আমার ন্যড়া মাথা নিয়ে হাসাহাসি করিস। কিন্তু  প্রথমে আউট করতে গিয়ে নো বল করে বসল । অমি কিন্তু একই ওভারের চতুর্থ বল করতে এসে অমি সত্যি সত্যিই রানাকে আউট করে দিল । ক্লাস থ্রি ও ফোরের  ছেলেরা উল্লাসে ফেটে পরল। এবং চিৎকার করে বলল – হিপ হিপ হুররে!

টাকলা অমি হিপ হিপ হুররে ! অন্যদিকে রানা ও রানাদের দলের মুখ চুন হয়ে গেল ।  আর নিজেদের মধ্যে অনেকে বলাবলি করতে থাকে – অমি টাকলা  রেগে  গেলে একদম জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের মত বোলিং করে! ঠিক মত প্রশিক্ষণ পেলে একদিন সত্যি ও একজন বড় ক্রিকেটার হবে। অমিদের দল রানাদের দলকে হারিয়ে দিল সেইদিন সত্যি সত্যিই।

অমি বাসায় এসে কান্না করে মাকে  প্রায় প্রতিদিনই বলে -মামনি আমি আর মাথা কামাবনা। স্কুলের ছেলেরা  আমাকে টাকলা বলে খেপায়। তখন অমির মা অমিকে বোঝায় – অমি বাবা কেউ তোমাকে টাকলা বলে খেপালে খেপে যাবেনা ।  তাহলে দুষ্টু ছেলেরাে তোমাকে আরও  খেপাবে । দুষ্টু ছেলেরা সব সময় মানুষকে খেপাতে ভালবাসে ।তোমাকে অনেক শক্ত হতে হবে।  তুমি না বড় হয়ে ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের মত হতে চাও । ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান হতে হলে অনেক বুদ্ধিমান  এবং শক্ত মন মানসিকতার হতে হবে।আর আমি তোমাকে স্কুলে গেলে দেখিয়ে দিও    কোন ছেলেগুলো তোমাকে টাকলা  অমি বলে খেপায় ? আমি ওদেরকে বলে দিব তোমাকে যাতে ওরা টাকলা  অমি বলে না খেপায়।

অমি তখন বলে – তুমি তো কখনই আমাকে ক্লাস থ্রিতে ওঠার পরে  স্কুল ,  কোচিং হতে নিয়ে আসতে যাওনা।আব্বু আমাকে স্কুলে দিয়ে আসে আর আসার সময় রাজু হিমেলের সাথে ,ওদের মায়েদের সাথে আসি।কোচিং এও মিনহাজ স্যারের বাসায় যাই রাজু হিমেলের সাথে।সারা দিন রুবাবা কে নিয়েই তুমি ব্যস্ত থাক।

অমির মা  ছেলেকে সান্ত্বনা দেয় আর বলে – আব্বু রুবাবা তো অনেক ছোট অর জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে।বাইরে গেলে শ্বাসকষ্ট আর  ও বেড়ে যায় ।  এজন্য ডাক্তার দেখাচ্ছি ।ও একটু সুস্থ হলেই তোমাকে স্কুল ছুটির  পরে নিতে যাব। কোচিং  এও  নিয়ে যাব, দিয়ে আসব। আর বাসা হতে স্কুল ,কোচিং তো খুব দুরে না তুমি এই টুকু পথ বন্ধুদের সাথে গল্প  করতে করতে যেতে  আসতে পারবে।

এমনিতে অমি নরম স্বভাবের ছেলে না হলেও মা বাবার একমাত্র ছেলে হওয়ায় অনেক আদরের।তাই বাইরে বন্ধুদের সাথে কখনও রাগের সময়  ঝগড়া মারামারি করলেও বাসায় মা বাবার কাছে সব আবদার নালিশ করবে। পড়াশুনাতে  ভাল বলে মা বাবা সব সময় চেষ্টা করে অমির সব আবদার পুরণ  করতে।খেলাধুলার প্রতি বিশেষ  করে ক্রিকেট খেলার দিকে খুব ঝোঁক দেখে অমির বাবা মা অমিকে বলেছে- অমি, তুমি আর ও একটু বড় হও তোমাকে  বড় কোন ক্রিকেটারের কাছে ক্রিকেট  প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভরতি করিয়ে দেব ক্রিকেট খেলা ভাল করে শেখার জন্য ।

একথা শুনে অমি বলে ওঠে- আব্বু আমি ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে ক্রিকেট খেলা  শিখব।

অমির বাবা আরিফ সালাউদ্দিন একথা শুনে হেসে  বলে – আচ্ছা  আরেকটু  বড় হও।পাশাপাশি ঠিক মত  পড়াশুনা ও করতে হবে।

ক্লাস এ রোল দশের মধ্যে থাকতে হবে। তোমার  ক্লাস এ রোল জানি কত?

অমি বলে -আমার রোল আট।

আরিফ সালাউদ্দিন  বলেন – গুড।আর কেউ তোমাকে টাকলা বললে তুমি নাকি রেগে যাও মারামারি করতে যাও। দুষ্টু ছেলেরা যা খুশি বলুক  ওদের কথায় কান দেবেনা। নইলে ওরা আর ও খেপাবে তোমাকে।

অমির  মা  নাসরিন বলে -অমি বাবা তুমি এখন বড় হচ্ছ ।   তোমার আব্বু  উকিল মানুষ,  সারাক্ষণ মক্কেল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় । আমি ও তোমার ছোট বোন রুবাবাকে নিয়ে ব্যস্ত  থাকি।এখন তোমাকে অনেক বুদ্ধিমান হতে হবে।কারও সাথে ঝগড়া মারামারি করা যাবেনা। যারা পড়াশুনায় ভাল, খেলাধুলায় ভাল তারা কখন ও কারও সাথে মারামারি করেনা। আর  তোমাকে কেন প্রায়ই ন্যঢ়া মাথায় থাকতে হয় ওরা জানেনা ।তুমি একটুতেই ঘেমে অস্থির হও। শরীরে  মাথায় খোশ পাঁচড়া ফোড়ার জন্য প্রতি মাসে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে ,ওষুধ খাচ্ছ। এখন ও মাথায় একটা বড় ফোড়া আছে । তাই কে, কি বলছে পাত্তা দেবেনা।নইলে কখন ও তুমি বড় ক্রিকেটার   বা বাবার মত নামকরা উকিল হতে পারবেনা।

অমির বাবা অমি কে আর ও বলে – তুমি  কি একথা  জান   যখন বড় বড় ক্রিকেটাররা মাঠে  ক্রিকেট খেলতে নামে তখন তারা যাতে  ভাল না খেলতে পারে খেলায় ঠিকমত মন দিতে না পারে, এজন্য অন্য দলের  কিছু ক্রিকেটার কোন কারণ ছাড়াই গালাগালি বা স্লেজিং করে। বড় ক্রিকেটাররা এতে বিচলিত না হয়ে খেলার দিকে মন দেয় বলে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা  ষড়যন্ত্র করেও সুবিধা করতে পারেনা। উল্টো ওইসব স্লেজিং করা ক্রিকেটারদের শাস্তি হয়। শুধু ক্রিকেট খেলাই নয়  অন্য খেলায় এমন অবস্থা দেখা যায়।এমনকি বাস্তব জীবনেও দেখবে ,যখন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষের মধ্যে কোন কিছু পাওয়ার জন্য লড়াই হয়। ওই সময় এক পক্ষ অন্ন পক্ষকে হারাতে মিথ্যা কথা বলে, সম্মান নষ্ট হয় এমন  কথা বলে হারাতে চেষ্টা করে।এখন তুমি এত বুঝবেনা আর ও  বড় হও তখন বুঝবে।

অমি ওর আব্বু আম্মুর কথা সব বুঝতে না পারলেও এটুকু বুঝতে পেরেছে ওর বন্ধু, স্কুলের অন্যান্য ছেলেরা  টাকলা  কথার প্রতিবাদ করলে তাকে আর ও  খেপাবে তাই সে আগের মত টাকলা বা টাকলা ক্রিকেটার অমি বলে খেপানোর চেষ্টা করলেও রাগ দেখাতনা চুপ করে থাকত। এতে কিছুটা কাজ হল আগের চেয়ে স্কুলের  ছেলেরা ওকে এখন টাকলা অমি বলে কম খেপায়। কিন্তু কোচিং ক্লাসের কিছু দুষ্টু ছেলে আগের মতই ওকে টাকলা  বলে হেনস্থা করতে থাকে।

অমি মনে মনে ভাবতে থাকে কিভাবে ওদের তামাশা বন্ধ করা যায়।

একদিন টেলিভিশনে কার্টুন দেখতে গিয়ে অমির মাথায় একটা বুদ্ধি আসল ।সে  কার্টুনে দেখেছিল একটা ছোট ছেলে শত্রুদের কাছে নিজের চেহারা লুকানোর জন্য তার বাবার জুতার  কালি  নিজের পুরো মুখ ও চুলে লাগিয়ে রাখে । শত্রুরা তাকে চিনতে না পেরে ছেড়ে দেয়।এভাবে ছেলেটি  শত্রুদের  কাছ হতে নিজেকে মুক্ত করতে সমর্থ  হয়। অমি জানে ওর বাবা কোথায় জুতার কালি রাখে  ।

পরের দিন অমি মাকে বলল – মামনি আমি এখন থেকে একা একাই রেডী হয়ে স্কুলে,কোচিং এ যাব। আমি এখন বড় হচ্ছি না।

একথা শুনে নাসরিন খুশি হয়ে ছেলের কপালে চুমু খেয়ে বলল- থ্যাঙ্ক  ইউ। আমার ছেলে তো  খুব লক্ষ্মী হয়ে গেছে । আজ  কোচিং থেকে আস ।  তোমার জন্য পিজা  বানিয়ে রাখব। তুমি তো পিজা  খেতে খুব ভালবাস।নাসরিন রুবাবা কে নিয়ে রান্না করছিল ।

এই সুযোগে অমি  জুতার কালি নিয়ে  মাথায় ইচ্ছা মত  তেলের মত করে লাগায় আর ভাবে  এখন স্কুল বা কোচিং এ যাওয়ার আগে জুতার কালি  মাথায় লাগিয়ে যাব’। আব্বুকে বলব বেশি করে জুতার কালি আনিয়ে রাখতে।    স্কুল ও কোচিংয়ের ছাত্রদের এখন বলব আমার মাথায় চুল গজিয়েছে।টাক হওয়ার পরে সবার মাথায় চুল গজায়। আম্মু আব্বু যদি  জুতার কালি মাখতে না দেয় জুতার কালির জার  লুকিয়ে  স্কুল ও কোচিংয়ে নিয়ে গিয়ে মাথায় মাখব । তাহলে দুষ্টু ছেলেরা আর আমাকে টাকলা অমি বলে খেপাতে  পারবেনা।

অমি আজ একা একাই স্যার এর বাসায় এসে উপস্থিত হয়েছে কোচিংয়ের জন্য । দরজা খুলে দিল  স্যারের  মেয়ে  রিমা আপু   ।জিজ্ঞেস করল    আজ একা একাই চলে আসলে  যে? সব সময় ত হিমেল দের সাথে আস। আর তমার  মাথায় এগুলো  কি  ?

অমি বলল – আজ  আম্মু দিয়ে গেছে ।   তাই ওদের রেখেই চলে এসেছি আর আমার মাথায় চুল গজিয়েছে । অন্য কিছু না।

রিমা আপু  খুব ভাল ছাত্রী ক্লাস এইটে পড়ে ।  সারাদিন শুধু  পড়া শুনা নিয়েই থাকে।   স্যার মাঝে মাঝে অমিদের কাছে রিমার গল্প করে।  রিমা বেশি কথা না বাড়িয়ে অমি কে বলে -আব্বু এখন ই আসবে তুমি বস।

একটু পর হিমেল  রাজু সহ অন্যান্য ছাত্র রা স্যারের  কাছে  কোচিং করতে চলে এল।

প্রথমে  কেউ  অত খেয়াল  করেনি অমির মাথায় চুল গজিয়েছে এ কথাই সত্য মনে করেছে সবাই। কিন্তু অমি র পাশে বসা রাজু আর হিমেল অঙ্ক করার সময় জুতার কালি র গন্ধ পাচ্ছিল অমির  মাথা হতে ।

রাজু স্যার কে দেখে  বলে – স্যার অমির মাথা থেকে জুতার কালির গন্ধ পাচ্ছি । বসা যাচ্ছেনা তীব্র গন্ধে।

একথা শুনে স্যারের মনে সন্দেহ হল।

অমির কাছে কিছুক্ষণ পরে  গিয়ে বলল যে অঙ্কটা করতে দিয়েছি দেখি  কতটুকু হল অঙ্কটা?

অমি বুঝতে পারেনি স্যার চালাকি করে ওর মাথায় কি তা দেখতে এসেছে।   অমি বলল স্যার আরেক টু বাকী আছে। এই বলতে বলতেই স্যার ওর মাথায় হাত দিয়ে চিৎকার করে বললেন- অমি তুই মাথায় জুতার কালি মেখেছিস কেন? তোর মাথায় এগুলো আর কিছুক্ষণ থাকলে মাথায় ফোড়া পাচড়া হবে। ভবিষ্যতে তোর  সত্যিকারের চুল গজাবেনা। তাড়াতাড়ি বাসায় যা মাথায় ভাল করে শ্যাম্পু করে গোসল করে ফেলবি সুন্দর করে।

অমির এই অবস্থার কথা শুনে কোচিংয়ের সব ছেলেরা হাসাহাসি শুরু করে দিল। অমিকে খোচা দিয়ে ক্লাস  ফাইভের  দুষ্টু ছেলে তুহিন , সাদ্দাম  স্যারের সামনেই বলছিল আর হাসাহাসি করছিল- টাকলা  অমি নকল চুল বানিয়ে টাক ঢাকতে  চেয়ে ধরা খেয়েছে।অমি কান্না করা শুরু করল। এদিকে স্যার চুপি চুপি  আড়ালে নিয়ে অমি কে  জিজ্ঞাসা করলেন- অমি বাবা তুই  ভাল ছাত্র কত ভাল ক্রিকেট খেলিস   হটাত করে  তুই এমন করলি কেন? যদি সত্য কথা বলিস তোকে আমি আলাদা করে চকলেট দিব আর কাউকে আজ চকলেট দিবনা ।

চুল তো আমি ও মাঝে মাঝে কেটে ফেলি আমার ছেলে ও কাটে চুল কিছুদিন পরে গজিয়ে যায়। আমরা তো মিথ্যা চুল দেখানোর জন্য জুতোর কালি মাথায়  দেইনা।   তুই ও যদি ঘন ঘন চুল না কাটিস তোর ও  চুল গজাবে।এরকম পাগলামি আর কখনও করবিনা।জুতর কালি বানাতে এমন উপাদান ব্যবহার করা হয় যা চুলের জন্য খারাপ।অমি তখন স্যারের কাছে সব খুলে বলল। এসব কথা স্যার শুনে তুহিন, সাদ্দামের উপর খেপে গিয়ে বললেন- তোরা অমিকে টাকলা বলে সব সময় খেপাস  তাইনা? আজ এজন্য  কড়া শাস্তি পাবি।

এই বলে স্যার  তুহিন  আর সাদ্দামকে সব ছাত্রদের সামনে একশ বার কান ধরে উঠবস করালেন। স্যার  বাকি ছাত্রদের ও  বলে দিলেন এখন থেকে অমি কে যে টাকলা বলে খেপাবে তাকে আমি কড়া শাস্তি  দিব  তুহিন  আর সাদ্দামের মত। সব ছাত্ররা চুপ হয়ে গেল।অমি স্কুলের  কোন ছেলে তোকে টাকলা বলে খেপালে আমাকে এসে বলে দিবি দেখিস কি শাস্তি দেই ওদের।

অমির আজ মনে মনে ঈদের মত খুব খুশি লাগছে। স্যার তুহিন, সাদ্দামকে করা শাস্তি দিয়েছেন। অন্যান্য দুষ্টু ছেলেদের ও বকে দিয়েছেন যেন অমি কে কোন দিন টাকলা ,টাকলা ক্রিকেটার বলে না  খেপায়। বাসায় আসার সময় দুইটা দামি চকলেট ও গিফট করেছে  স্যার ।অমি মনে মনে বলে -আই লাভ ইউ মিনহাজ স্যার।