সুশান্তের মৃত্যুর প্রতিবেদন খতিয়ে দেখে যা মিলেছে, জানালেন চিকিৎসকরা

আপডেট: September 29, 2020 |

দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্যানেলের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য। সুশান্তের ময়নাতদন্তের এবং ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল করে খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই-এর নির্দেশে ডক্টর সুধীর গুপ্তের নেতৃত্বে ওই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোমবার এসব তথ্য সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়ার সময় দীর্ঘ বৈঠকও হয়েছে চিকিৎসক ও তদন্তকারীদের।

গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও পরে ওঠে খুনের অভিযোগ। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই’র হাতে যায় তদন্তভার।
সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে সিবিআই জানিয়েছে, সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা জানার জন্য এইমস’র ডাক্তারদের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। নির্দেশ ছিল, যাতে কোনও রকম ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর সম্ভাবনাও বাদ না যায় খুঁটিয়ে দেখতে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং টুইট করে লিখেছিলেন, “সিবিআই’র ওপর হতাশ হয়ে যাচ্ছি। সুশান্তের মৃত্যু যে আত্মহত্যা নয়, খুন, এ বিষয়ে কিছুতেই তারা সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। আমায় এইমস’র চিকিৎসক সুশান্তের মৃতদেহের ছবি দেখে অনেক আগেই বলেছিলেন, তিনি ‘২০০ শতাংশ নিশ্চিত’ যে এটা আত্মহত্যা নয়, গলায় ফাঁস দিয়ে খুন।”

পাশাপাশি বিকাশ সিং দাবি করেন, এইমস হাসপাতালের যে চিকিৎসক দল সুশান্তের মৃতদেহের ফরেন্সিক টেস্ট করছে, সেই দলেরই সদস্য এক চিকিৎসকও নাকি জানিয়েছেন, আত্মহত্যা নয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সুশান্তকে।

কার্যত বিকাশ সিংয়ের এই দাবির ওপর ভিত্তি করেই ডক্টর সুধীর গুপ্ত বলেন, “চিকিৎসক প্যানেলের সিদ্ধান্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর নির্ভর করে নির্মিত হবে। স্পষ্ট এবং স্বচ্ছভাবে জানানো হবে সব কিছু। শুধু ছবি দেখে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে না কখনওই।”

সূত্রের খবর, গত চল্লিশ দিন ধরে সিবিআই তদন্ত করে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে সুশান্ত মৃত্যুরহস্য নিয়ে, তার সঙ্গে সোমবার এইমস’র চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ফের তদন্ত শুরু হবে।

সুশান্তর মৃত্যুর পর অবশ্য প্রথম থেকেই খুনের অভিযোগ করে আসছে তার পরিবার। সুশান্তর প্রেমিকা রিয়ার বিরুদ্ধে পাটনার রাজেন্দ্র নগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং। নিজের এফআইআর-এ তিনি আর্থিক প্রতারণা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন রিয়ার বিরুদ্ধে। রিয়া ছাড়াও তার বাবা, মা, ভাইসহ মোট ৬ জনের নাম ছিল ওই এফআইআর-এ। সুশান্তের বাবার এফআইআর-এর পর মুম্বাই পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নামে বিহার পুলিশ। অবশেষে বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তভার যায় সিবিআই’র হাতে। সূত্র: দ্য ওয়াল

বৈশাখী নিউজইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর