শেখ হাসিনা উপমহাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র: হানিফ

আপডেট: September 30, 2020 |

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনা এই উপমহাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আশা ভরসা শেখ হাসিনা। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপন করেন। পিতা মুজিবের রাজনৈতিক দেখেই তিনি বাঙালী জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ, মমত্ববোধ প্রকট আকারে ধারণ করেন।’

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ‘তারুণ্যের অনুপ্রেরণা শেখ হাসিনা’ বিশেষ ওয়েবিনারে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মায়া মমতা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন ঠিক তেমনিভাবে রাজনৈতিকভাবে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির কাছে সব ধরনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০০৮ সালে যদি আমরা খেয়াল করি মাত্র ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের সম্পৃক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন এবং তিনি সফল। এখন দেশে ১০ কোটির অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ইউনিয়নগুলো ডিজিটাল হাবে পরিণত হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৫ টি ডিজিটাল সেন্টারে ১১ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। একটা বড় সংখ্যা যদি বলি সাড়ে ৬ লাখ আইটি ফ্রিলেন্সার রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা দর্শন ছিল- শিক্ষা হতে হবে বাস্তবমুখী, বুনিয়াদি শিক্ষা, শিক্ষা হতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর, বৃত্তিমূলক শিক্ষা। কিন্তু ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে তৎকালীন অবৈধ সরকারগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপরে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পরে শিক্ষা ব্যবস্থায় সুদূর প্রসারী পরিবর্তন হয়। আগে আমরা নারী শিক্ষায় পিছিয়ে ছিলাম এখন তা ছেলেদের চাইতেও এগিয়ে।

তিনি আরও বলেন, যে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে ছিল তা আজ স্বয়ংক্রিয়। সারাদেশে ১৮শ’টি মাদ্রাসা ভবনের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিগত সরকারের আমলে কি করেছে তারা? শূন্য। আমরা স্বপ্ন দেখি এই দেশ এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে এই দেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পরে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্যই। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে এসে গণমানুষের সংকট নিয়ে চিন্তা করেছেন এবং তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার এই পথ ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ প্রতিকূল ঝুঁকিপূর্ণ। আজকে তার জন্মদিনে তিনি নেত্রী শেখ হাসিনা থেকে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন। আমরা দেখেছি তার জন্মদিনে বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। সবাই জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। গণভবনে বসে থেকে তিনি সারাদেশের খোজ খবর রাখেন। তিনি নীলকন্ঠী, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বেঁচে থাকা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, নারীদেরকে বিগত সরকারের সময় অমর্যাদাকর অবস্থায় রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তরুণদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। নারীর টেকসই উন্নয়নসহ নানান কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সুত্র: বাসস

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর