সাভারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৯ জন গ্রেপ্তার

সাভারে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দলনেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশন) পিবিআই। রবিউল ইসলাম লস্কর (৪২) নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (সেবা, ঢাকা) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- আন্তঃজো ডাকাত দলনেতা পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানার আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বসির মোল্লা (৪২), ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার নাওড়া গ্রামের জবেদ আলী শেখের ছেলে শেখ হাফিজ (৩৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গীবাড়ি থানার ডোরাপতি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), ধামরাইয়ের কেলিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে আমির হোসেন (২৮), বাগেরহাট জেলার মংলা থানার বাজিগারখন্ড এলাকার শাহ আলমের ছেলে আল আমিন (২৮), আশুলিয়ার নলাম তারিগরপাড়া এলাকার মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে জুয়েল (৩২), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ফতেহপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে নঈম (২২), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভুখন্ডি গ্রামের সুভাস মন্ডলের ছেলে তপন (২৮) ও একই জেলার ঘাটাইল থানার ষাটশালা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে নাজমুল (৩০)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, গত ৫ই অক্টোবর নিহত হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম লস্কর ভাগিনার সাথে দেখা করার জন্য কর্মস্থল মিরপুর থেকে সাভারের জামগড়ার যান। ভাগিনার সাথে দেখা করে স্থানীয় ইসলামিয়া হোটেল মালিকের সাথে দেখা করার কথা বলে বিকেলে জামগড়া ত্যাগ করেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টার সময় তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে মেয়ের সাথে শেষ কথা বলেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে একই মোবাইল থেকে তার মায়ের ফোন নম্বরে ফোন করে রবিউল খুন হয়েছে বলে জানায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। পরে সাভারের বলিয়ারপুরের যমুনা ন্যাচারাল পার্কের গেটের পাশ থেকে রবিউল ইসলাম লস্করের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এঘটনায় নিহতের স্ত্রী হাফিজা বেগম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার পায় ঢাকা জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৩ই অক্টোবর সাভার থেকে ডাকাত দলনেতা বসির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও ডেমরা থেকে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই এর পুলিশ সুপার (সেবা, ঢাকা) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম জানান, গত ৪ অক্টোবর গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের নিরালা পরিবহনের একটি বাস কুয়াকাটা যাওয়ার কথা বলে ৩ দিনের জন্য রিজার্ভ নেয়। পরে ওই বাস দিয়ে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়িতে ডাকাতির কাজ শেষ করে ফেরার সময় আশুলিয়ার নবীনগর থেকে রবিউলকে বাসে উঠায়। বাসের ভেতরে ডাকাতির সময় রবিউল চিৎকার করলে তাকে ডাকাত সদস্যরা চেপে ধরে ও দলনেতা হুইলরেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলেই রবিউল মারা যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই ড্রাইভার ও হেলপার। তারা সাভার, ধামরাই ও যাত্রাবাড়িতে থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দল প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে বাসে ডাকাতি করে আসছিল। বিভিন্ন রুটের গাড়ি ভাড়া নিয়ে স্টিকার পরিবর্তন করে রং দিয়ে বিভিন্ন রুটের নাম লিখে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডাকাতি করে আসছিলো চক্রটি।

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা