বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর ১৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সময়: 1:03 pm - October 17, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 3 বার

আজ পহেলা কার্তিক বাউল সম্রাট লালন সাঁই এর ১৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে এ দিনে লালন স্মরণোৎসব ও মেলা হয়ে থাকে বহু বছর ধরে। তবে মহামারী করোনা এবার সেই অনুষ্ঠান এবার হচ্ছে না। লালন একাডেমী এ স্মরণোৎসব ইতিমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে।

তবে তিরোধান দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তানুরাগী দর্শনার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন মাজারের বাইরে আশপাশের এলাকায়। এদিকে মাজারের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় ভক্তানুরাগী ও দর্শনার্থীদের ক্ষোভের অন্ত: নেই। সীমিত পরিসরে হলেও অন্তত সাধুসঙ্গ আয়োজনের দাবি করেন বাউলরা।

বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক সাধক পুরুষ লালন সাঁই দেহত্যাগ করেন। এরপর থেকে লালনের অনুসারীরা প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে আসছেন। প্রতিবার তিরোধান দিবসে ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির ধামে বসে হাজারো ভক্তানুরাগীদের মিলন মেলা।

কয়েকদিন আগে থেকেই দূর-দুরান্ত থেকে লালন ভক্তরা এসে একাডেমি ভবনের নিচতলার পুরো মেঝে জুড়ে আসন পেতে বসতেন। আর উৎসবের দিনগুলোতে তো আখড়াবাড়ির আঙ্গিনা ছাড়িয়ে মরা কালী নদীর পাড় অব্দি বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে হাট বসতো বাউল সাধুদের। তবে এবারের দৃশ্যপট আলাদা, পুরো আখড়াবাড়ি জুড়ে সুনশান নিরবতা। আখড়া বাড়ির প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা।

কারণ, করোনা পরিস্তিতিতে লালন একাডেমী কর্তৃপক্ষ এক সভায় এবারের তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন। তাই এবার সহজ মানুষদের মহা সম্মিলন হচ্ছেনা। হচ্ছে না গুরু শিষ্যের ভাবের আদান প্রদান। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজে বেড়ানো মানুষগুলো এবারের তিরোধান দিবসে সাঁইজিকে স্মরণ করবে করবে নিজ নিজ ধামে। এদিকে অনুষ্ঠানিকতা বাতিল করে মাজারের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় ক্ষোভের অন্তনেই ভক্তানুরাগী ও দর্শনার্থীদের। বাউল সাধুদের চাওয়া লালন একাডেমি’র উচিৎ ছিল সীমিত পরিসরে হলেও সাধু সঙ্গের ব্যবস্থা করা।

পরিস্থিতির পরিবর্তন হলে পরে বড় পরিসরে উৎসবের আয়োজন করা হবে বলে জানান লালন একাডেমীর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জানান,’এ বছর করোনার কারণে তিরোধান দিবসটি আমরা স্থগিত করেছি। লালনের এই সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়। সেক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, তাই এ বছর এ সিদ্ধান্ত।’

১৮৯০ সালে ফকির লালন শাহ মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

বৈশাখী নিউজ/ফারজানা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর