মশা নিয়ন্ত্রণে ট্যাবলেট ব্যবহার করছে ডিএনসিসি

মশা নিয়ন্ত্রণে চতুর্থ প্রজন্মের ওষুধ ‘নোভালিউরন’ ব্যবহার শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ট্যাবলেট বা বড়ির মতো দেখতে এ নতুন ওষুধ শনিবার থেকে প্রয়োগ শুরু হয়। এই ওষুধ একবার ব্যবহার করলে তিন মাস পর্যন্ত সেখানে মশা জন্মাতে পারবে না বলে জানিয়েছে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, উত্তর সিটির মশার প্রজনন ও বংশবিস্তার উপযোগী ৬২৯টি জায়গায় এ ওষুধ প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হবে।

যুক্তরাজ্যের একটি কীটনাশক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নোভালিউরন তৈরি করছে। এটি একটি ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর (আইজিআর), এটা মশার বৃদ্ধি আটকে দেবে, লার্ভাকে পূর্ণাঙ্গ মশা হতে দেবে না। এই ট্যাবলেট আকারের ওষুধটি পানিতে ব্যবহার করতে হয়।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, নোভালিউরন একটি চতুর্থ প্রজন্মের লার্ভিসাইড ওষুধ। একেকটি নোভালিউরন বড়ির কার্যকারিতা প্রায় ৯০ দিন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কীটতত্ত্ববিদের তত্ত্বাবধানে করপোরেশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসি এ ওষুধ প্রয়োগ করছে। প্রয়োগের আগে মাঠপর্যায়ে তিন মাস ওষুধটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়।

গতকাল উত্তরা ১১ ও ১২ নম্বর সেক্টর–সংলগ্ন লেক, বারিধারা ৮, ১৩, ও ১৪ নম্বর সড়কের নালা এবং উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনের নালায় এ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, একেকটি নোভালিউরন বড়ির ওজন এক গ্রাম করে। দেখতে অনেকটা সুপরিচিত প্যারাসিটামল বড়ির মতো। একেকটি বড়ি ১০ লিটার পানিতে কাজ করবে। ওষুধটি শুধু চিটিন (লার্ভার ওপরে একধরনের আবরণ) আছে এমন প্রাণীর ওপর কাজ করে।

লার্ভা থেকে পরিণত মশা হওয়ার এ ধাপকে চিটিন বলে। এ ধাপে লার্ভাটি খোলসে আবৃত থাকে। ওষুধের কারণে মশার লার্ভা খোলস বদলাতে পারে না। লার্ভা ধ্বংস হয়ে যায়। এই ওষুধ লার্ভা হয় এমন কীট ছাড়া মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর শরীরে খারাপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, এই ওষুধটি ব্যবহারের ফলে করপোরেশনের মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যয় অনেক কমে আসবে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা