বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ চ্যাম্পিয়ন মাহমুদউল্লাহ একাদশ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল ম্যাচ একরকম এক তরফা করে নিয়ে নাজমুল একাদশকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল মাহমুদউল্লাহ একাদশ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শান্ত একাদশের ছুড়ে দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে রোববার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নামে নাজমুল একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ। লিগ পর্বে দুই দলের দুইবারের মুখোমুখি দেখায় দুটিতেই জিতেছিল নাজমুল একাদশ। ফাইনালে তার মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শিরোপা নিজেদের করল মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

টস জিতে প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। তবে এদিন তেমন সুবিধা করতে পারেনি নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানরা। সুমন খানের ৫ উইকেট শিকারের দিনে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় নাজমুল একাদশ। জবাব দিতে নেমে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের ফিফটিতে ২৯.৪ ওভারেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।

লিটন সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। তার ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০ চার। ইমরুল কায়েস ৫৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ১টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকিয়েছেন ৬ ছক্কা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। নাজমুল একাদশের পক্ষে নাসুম আহমেদ সর্বাধিক ২ উইকেট নেন।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসবের শুরু করেছিলেন রুবেল হোসেন। এরপর সুমনের তোপ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো নাজমুল একাদশ পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে। একে একে সাইফ হাসান (৪), মুশফিকুর রহিমের (১২), সৌম্য সরকার (৫), আফিফ হোসেনের (০) উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা দলের হাল ধরেন অধিনায়ক। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে চেষ্টা করেন বিপর্যয় সামাল দেয়ার।

শান্ত নিজেই উইকেট বিলিয়ে আসলে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩২ রান করে লংঅনে ক্যাচ দেন। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ব্যাটিং করা ইরফান নেমেই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রতিপক্ষের নবম শিকার হওয়ার আগে ৭৭ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রান করেন তিনি। এ ছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩২ ও তৌহিদ হৃদয় ২৬ রান করেন।

মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে সুমন খান ছাড়াও পেসার রুবেল হোসেনও যথারীতি ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। এদিন ৮ ওভার বল করেন ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন তিনি। সুমনের বোলিং স্পেল ১০-০-৩৮-৫। ইবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়েছেন সুমন খান। আর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন ইরফান শুক্কুর। সেরা বোলার রুবেল হোসেন। আর সেরা ফিল্ডার নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক)।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা