সেনাবাহিনী দেশের মানুষের ভরসা-বিশ্বাসের প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানুষের আস্থা অর্জন করে আপনাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসে আটটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ৭ পদাতিক ডিভিশনের তিনটি ব্রিগেড ও ৫টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

করোনাকালে সশস্ত্রবাহিনী যে সেবা দিয়েছে তা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

সেনাদের পেশাদারিত্ব ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ এবং সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলার জন্য সদাপ্রস্তুত থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট-সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়েই আমরা বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই। কিন্তু যদি কখনো আমরা আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না। কারণ যুদ্ধের যে ভয়াবহ রূপ, তা আমার নিজের দেখা আছে। আমরাও এর ভুক্তভোগী। কাজেই আমরা আর সে ধরনের সংঘাতে জড়িত হতে চাই না।

শীতকালে কারোনা আবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

করোনার মধ্য প্রণোদনা দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা