ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে স্যামসাংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টের আড়াই বছরের কারাদণ্ড

আপডেট: January 18, 2021 |

স্যামসাংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেই ওয়াই লিকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার হাইকোর্ট।

২০১৫ সালে তৎকালীন কোরীয় প্রেসিডেন্টকে ৭৮ লাখ ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। খবর নিক্কেই এশিয়ার।

২০১৭ সালে প্রথম গ্রেফতার হন লি। স্যামসাং গ্রুপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে ঘুষ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের পাশাপাশি তহবিল আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অভিযোগে লিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন আদালত।

দক্ষিণ কোরিয়ার হাইকোর্ট সোমবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেন।

২০১৪ সাল থেকেই জেই ওয়াই লি কার্যত স্যামসাংয়ের ওপর কর্তৃত্ব চালিয়ে আসছিলেন এবং তাকে বিবেচনা করা হচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ প্রধান হিসেবে।

স্যামসাং সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স, যেটির প্রধান জেই ওয়াই লি। এই প্রতিষ্ঠানটির আয় দেশটির জিডিপির ১২ ভাগের সমান।

২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের দুটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান একত্রীকরণের মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্যামসাং গ্রুপের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে লির যে পরিকল্পনা ছিল, ওই একত্রীকরণ তাতে সহায়তা করেছে, এমন আঁতাতের প্রমাণ পাওয়ায় আগেই জেল খেটেছেন লি।

ওই অপরাধের সঙ্গে নতুন আরও কিছু নতুন অভিযোগ যুক্ত হওয়ায় গত গত বছরের মাঝামাঝি লির বিরুদ্ধে আদালতের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন সরকারি কৌঁসুলিরা। সে সময় জামিন পেয়েছিলেন লি।

রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার আশায় পার্কের বন্ধু চই সু-সিল পরিচালিত দুটি অলাভজনক সংস্থায় তিন কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার ‘অনুদানের’ সত্যতা সে সময়ে পেয়েছেন আদালত। ওই অভিযোগে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান পার্ক গুয়েন হাই।

২০১৭ সালের অগাস্টে লিকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ছয় মাস পর সাজা অর্ধেক করে লির কারাদণ্ড বাতিল করেন সিউল হাইকোর্ট। এতে সে সময় মুক্তি পেয়েছিলেন স্যামসাং উত্তরাধিকারী। পরে আবার সংশ্লিষ্ট আরও কিছু অপকর্মের অভিযোগ আনা হলে মামলা ফের সচল হয়।

বৈশাখীনিউজএপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর