ওই আফগান মুদ্রা বাংলাদেশ পাঠানোই কি উদ্দেশ্য ছিল? খতিয়ে দেখছে কলকাতা

আপডেট: August 31, 2021 |

গত সপ্তাহে বড় অঙ্কের আফগান মুদ্রাসহ কলকাতা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক দপ্তর। ওই মুদ্রাকে বেআইনিভাবে ভারতীয় টাকায় পরিবর্তন করাই গ্রেপ্তারকৃতদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

তারা আরও মনে করছেন আফগান মুদ্রা লেনদেন এবং বিনিময়ের সঙ্গে আরও অনেক নাম জড়িয়ে আছে। আর সেই নামগুলোর খোঁজ চলছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।

কলকাতার প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক ‌‘আনন্দবাজার পত্রিকা’-এর এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আর এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে। সেগুলো হলো:- এই অর্থ কি সন্ত্রাসবাদীদের মদদের উদ্দেশে বাংলাদেশে যাচ্ছিল? আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানের পর কলকাতায় এত বড় অঙ্কের আফগানি মুদ্রা কোথা থেকে এলো? নাকি আফগানিস্তান থেকে আসার সময় কেউ ওই মুদ্রা সঙ্গে করে এনেছেন?

এ সবকিছুই শুল্ক দপ্তর তদন্ত করে দেখছে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত সপ্তাহে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিবাদি বাগ এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানেই দুই সন্দেহভাজনের কাছ থেকে ২৯ লাখ ৯০ হাজার আফগান মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

আনন্দবাজার বলছে, বাজেয়াপ্ত আফগান মুদ্রার উৎসসহ সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মের জন্য এই মুদ্রা লেনদেন করা হচ্ছিল কি না, জানতে গ্রেপ্তারকৃতদের জেরা করা হচ্ছে। তবে শুল্ক দপ্তর বলছে, বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই মুদ্রা পেয়েছিল। সম্ভবত আফগানিস্তান থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ওই আফগানি মুদ্রা দেশে আসে এবং ওই মুদ্রাকে ভারতীয় টাকায় বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেই তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা।

শুল্ক দপ্তর বলছে, উদ্ধার হওয়া ওই আফগান মুদ্রা বাংলাদেশ পাঠানোই গ্রেপ্তারকৃতদের মূল উদ্দেশ্য ছিল কি না, সে বিষয়েও জানার চেষ্টা চলেছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া আফগান মুদ্রা যে সন্ত্রাসের কাজেই ব্যবহারের উদ্দেশে সংগ্রহ করা হয়েছিল, এখনও এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর