দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে গ্রাহকের ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে তৃতীয় দফায় চিঠি পাঠালেও সাড়া মেলেনি দিল্লির। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠিগুলো দেওয়া হয়।
আগের দুই দফায় পাঠানো চিঠির সাড়া না পেয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) তৃতীয় দফায় চিঠি পাঠায় পুলিশ সদর দপ্তর। তবে এ চিঠি পাঠানোর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও এনসিবির পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ও ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারতে গ্রেপ্তার সোহেল রানাকে ফেরত চেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর দিল্লি এনসিবিকে পাঠানো চিঠির সাড়া না পেয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদিও তিন দফা চিঠির কোনোটিরই জবাব আমরা পাইনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্দায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েন সোহেল রানা। পরদিন ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়।
বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বনানী থানার এই পুলিশ পরিদর্শকের বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’ পরিচালনা করতেন।
গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়।
আসামিরা হলেন, ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন সোহেল রানা। তবে ই-অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/