যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করছে, খুলে দিচ্ছে সীমান্ত; সেখানে চীন তার জিরো কভিড নীতিকে জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে।

তারই সর্বশেষ উদাহারণ বিদেশি যাত্রী ও ভ্রমণকারীদের জন্য ৫ হাজার কক্ষের কোয়ারেন্টিন সেন্টার নির্মাণ। চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াংঝুতে ২৬০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সুবিশাল এই কোয়ারেন্টিন সেন্টার উদ্বোধন হবে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

বেশ কয়েকটি সারিতে বিভিক্ত এই কোয়ারেন্টিন সেন্টারটি তিন তলা বিশিষ্ট। গুয়াংঝু শহরের প্রান্তে যে পরিমাণ এলাকাজুড়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে- তা ৪৬টি ফুটবল মাঠের সমান। প্রকল্পটি নির্মাণে সময় লেগেছে তিন মাস।

বেইংজিং, গুয়াংঝু ও তার আশপাশের শহরসমূহের হোটেলগুলোতে কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত চাপ কমাতেই এই ভবন প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা।

কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র বা ভবনটির উদ্বোধন ও কার্যক্রম শুরু হলে বেইজিং ও গুয়াংঝুতে আগত সব বিদেশি যাত্রীদের বিমানবন্দর ত্যাগের পরপরই বাসে করে এই কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে এবং এখানে তাদের দুসপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে।

আগত অতিথিদের জন্য কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে একটি করে ভিডিও চ্যাট ক্যামেরা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমৃদ্ধ থার্মোমিটার রয়েছে। অতিথিদের তিন বেলা খাবার পরিবেশন করা হবে রোবটের মাধ্যমে।

কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে অতিথিদের সরাসরি সাক্ষাৎ যেন এড়ানো যায়, তার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই সেন্টারে। কোয়ারেন্টিন সেন্টারটির নাম দেয়া হয়েছে, ‘গুয়াংঝু ইন্টারন্যাশনাল হেলথ স্টেশন’। চীনে এ ধরনের সেন্টার এটাই প্রথম।

দেশটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য ইয়ানজং হুয়াং সিনহুয়াকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, এটি এযাবৎকাল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোয়ারেন্টিন সেন্টার। এটি একই সঙ্গে সুবিশাল, অত্যাধুনিক ও উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন এবং পরিশীলিত।’ সূত্র: সিএনএন

বৈশাখী নিউজ/ জেপা