‘পাক-আফগান সীমান্ত এখন সন্ত্রাসীদের আঁতুড়ঘর’
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের দুর্গম ভূখণ্ড আবারও বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু বা আঁতুড়ঘর হিসেবে রূপ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান ব্লুমস।
গ্রিক সিটি টাইমসে প্রকাশিত তার প্রবন্ধে ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ইরাকলিস ভোরিডিস লিখেছেন, আফগানিস্তানে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে সহিংসতা ইতিমধ্যেই বেড়ে চলেছে। আমেরিকান এবং ন্যাটো বাহিনীর অনুপস্থিতিতে এই অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
তার ভাষ্যমতে তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই আফগান জনগণ মানবিক এবং সংকটময় সময় পার করছে। কিন্তু দেশটির এমন সরকার ব্যবস্থাকে জোরালোভাবে সমর্থন করছে পাকিস্তান।
ইরাকলিস ভোরিডিস আরো বলেন, আফগানিস্তানে জঙ্গি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে সে গুলোকে নিবিড় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। কাবুলের সাথে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চায় পাকিস্তান।
এ বছরের শুরু থেকে পাকিস্তানের এই উপজাতীয় এলাকাগুলোতে হঠাৎ সহিংসতা, রক্তপাত বাড়ত শুরু করে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদের গবেষণা সংস্থা পাকিস্তান ইন্সটিটিউট অব পিস স্টাডিজ (পিআইপিএস)।
তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), যাদের সঙ্গে আফগান তালেবানের আদর্শিক ঐক্য রয়েছে, তাদের কারণেই মূলত নতুন করে এই সহিংসতা। আফগান তালেবানের মতো টিটিপিও চায় পাকিস্তান কট্টর শরীয়া আইন-ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র হোক।
পিআইপিএস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর টিটিপির ৯৫টি হামলায় ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু জুলাই থেকে যখন আফগানিস্তানে তালেবান তাদের নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে শুরু করে, টিটিপিও পাকিস্তানে তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসেই টিটিপির চালানো ৪৪টি হামলায় মারা যায় ৭৩ জন। নিহতদের সিংহভাগই পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।