মুশফিকুর রহিমকে বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংটা যুঁতসুই হচ্ছে না মিস্টার ডিপেন্ডেবলের। তবুও ২০১৯ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিককে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে।

ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় চারে খেললেও ওমানের বিপক্ষে দেখা গেল একেবারে ভিন্ন চিত্র। যেখানে আটে ব্যাট করেছেন মুশফিক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো আটে ব্যাট করতে দেখা গেছে তাঁকে। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘আমি এখনও বলছি মুশফিকুর রহিম মুশফিকুর রহিমই। সে আপনার দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যেকোনো পরিস্থিতিই হোক না কেন আপনার ৪/৫ পাঁচের ব্যাটারের ওপর আস্থা রাখতে হবে।’

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমার চোখে মুশফিক এমন একজন ব্যাটার যে থিতু হতে ৬-৭ বল খেলবে। ওই ৭-৮ বল সে সিঙ্গেল খেলে। কিন্তু সে যখন থিতু হয় বাংলাদেশে আমি আর কোনো ব্যাটার দেখি না যে তার চেয়ে ভালো স্লগ করতে পারে। এটা আমি মনে করি। তাকে ৮ নম্বরে দেখাটা হতাশাজনক।’

মুশফিক ছাড়াও প্রায় পুরো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করেছিল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব আল হাসানকে প্রতিনিয়ত তিনে দেখা গেলেও এদিন তাঁর জায়গায় ব্যাটিং করেছেন শেখ মেহেদি। এদিন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও সাতে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে।

নুরুল হাসান সোহানকে প্রতিনিয়ত সাত কিংবা আটে দেখা গেলেও ওমানের বিপক্ষে পাঁচে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ছয়ে দেখা গেলে তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের এমন পরিবর্তন দেখে তামিম অবাক হলেও বাঁহাতি ওপেনার বলেন, ‘অবাক হয়েছি কিন্তু আমি ডাগ আউটে ছিলাম না তাই উনাদের মাথায় কি চলছে এটা বলা কঠিন। আমি যেহেতু ক্রিকেট খেলি তাই আমি জানি মাঝে মাঝে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নির্দিষ্ট কোন জিনিস চিন্তা করে। আমি জানি এটা করার কারণ রয়েছে।’

বৈশাখী নিউজ/ এপি