ফের আলোচনার টেবিলে বাইডেন-পুতিন

আপডেট: November 29, 2021 |

ভূ-রাজনীতি, জলবায়ু ও মানবাধিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও সেসব উত্তেজনাকে এক পাশে রেখে চলতি বছরই ফের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু ওই বৈঠক মুখোমুখিভাবে নয়, ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ নভেম্বর) এমনই তথ্য দিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিন। মস্কোর আশা, চলতি বছরেই মধ্যেই ভিডিও লিংকের মাধ্যমে একে-অপরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বাইডেন-পুতিন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএকে জানিয়েছেন, আমরা আশা করছি, চলতি বছর শেষের আগেই (উভয় প্রেসিডেন্টের মধ্যে) কথা হবে। তবে এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ হয়নি।

ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক রুশ সৈন্য মোতায়েন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যমান সংকটময় এই পরিস্থিতিতেই বাইডেনের সঙ্গে পুতিনর সম্ভাব্য বৈঠকের কথাটি সামনে এলো।

রাশিয়ার কয়েকটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফের আলোচনার টেবিলে আনার অংশ হিসেবেই ইউক্রেন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েনসহ রুশ কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা বজায় রেখেছে।

এছাড়া গেল শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনিস্কির সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

এর আগে ধুঁকতে থাকা সম্পর্ক মেরামতের ক্ষীণ আশা নিয়ে গত জুন মাসে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ভ্লাদিমির পুতিন এবং জো বাইডেন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ভিলা লা গ্রেঞ্জে সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বৈরী এই দুই দেশের সম্পর্ক গত কয়েক দশকের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্টকে খুনি বলেও মন্তব্য করেছিলেন। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে নজিরবিহীন অবনতির মাঝে গত জুনে জেনেভায় বাইডেন-পুতিন সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।

আর চলতি বছর শেষের আগেই ভার্চ্যুয়ালি উভয় নেতার কথা বলার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বৈরী এই দুই পরাশক্তির বৈঠক তাদের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে পারে কি-না, সেটিই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: আরটি, এনবিসি, রয়টার্স

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর