শপথ নিলেন পাকিস্তানের প্রথম নারী বিচারপতি
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি আয়েশা মালিক দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে শপথ নিয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির তিনিই প্রথম নারী বিচারপতি এবং ১৬ জন পুরুষ সহকর্মীর সাথে গঠিত একটি বেঞ্চে বসেন তিনি।
আইনজীবী ও অন্য অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, পাকিস্তানের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের প্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ের কয়েক দশকের মধ্যে এটি বিরল জয়।
পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থা ঐতিহাসিকভাবেই রক্ষণশীল এবং পুরুষশাসিত। মানবাধিকার সংগঠনের মতে, এটিই দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ যেখানে সুপ্রিম কোর্টে কোনো নারী বিচারপতি ছিলো না। এ ছাড়া পাকিস্তান হাইকোর্টের মাত্র ৪ শতাংশ নারী।
অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় আয়েশা জুনিয়র হওয়ায় অনেক আইনজীবী এবং বিচারক আয়েশাকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিরোধিতা করেন।
বিচারপতি আয়েশা মালিক পাকিস্তানের কলেজ অব ল এবং হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশে হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি লাহোরে পিতৃতান্ত্রিক আইনি ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গত বছর তিনি যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের ধর্ষণের পরীক্ষায় ভার্জিনিটি টেস্ট নিষিদ্ধ করেন।
ইসলামাবাদের আইনজীবী জারমিনেহ রাহিম বলেন, যদি পিতৃতান্ত্রিকতা এবং ইসলামের রক্ষণশীলতার ব্যাখ্যা দ্বারা নারীদের বেঁধে রাখা হয় তবে নারীরা মানব পুজিঁর বিকাশের যে ধারা তা থেকে পিছিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একজন নারীর অবস্থান আমাদের সেই সংগ্রামের একটা ছোট্ট পদক্ষেপ।
গত বছর বিচারপতি আয়েশার এ পদে পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছিলো এবং এখনো তার পদোন্নতি নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন।
বিচারপতি আয়েশা মালিক নিম্ন আদালতের চতুর্থতম জেষ্ঠ্য বিচারক ছিলেন যেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে তিনি বিচারপতি হয়েছেন।