প্রজাতন্ত্র দিবসে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করল ভারত
সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করল। রাজধানী নয়াদিল্লির আকাশে পরাক্রম প্রদর্শন করল যুদ্ধবিমান রাফায়েল-মিগ-চিনুক-জাগুয়ার। আর শত্রুর বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিল্লির রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন সেঞ্চুরিয়ান-অর্জুন-ভীষ্ম-হাউৎজারের। আবার দেশে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মাধুর্য তুলে ধরলেন শিল্পীরা। সব মিলিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসে গোটা বিশ্ব সাক্ষী থাকল এক অনন্য ভারতের।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ছিল ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস। আবার এ বছরই স্বাধীনতার ৭৫ বছরও বটে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এদিন দিল্লির রাজপথে ফুটে উঠলো সেই দেশপ্রেম। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীত আর একুশ তোপের সালাম জানিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন করে সেঞ্চুরিয়ান ট্যাংক, পিটি-৭৬, এমবিটি অর্জুন এমকে-ওয়ান এবং এপিসি টোপাজ। প্রদর্শিত হয় হাউৎজার এমকে-ওয়ান। প্রদর্শিত হয় ১২ রাজ্যের ট্যাবলো।
নজিরবিহীনভাবে এবার কুচকাওয়াজের অংশ ছিল বেসামরিক বিমান পরিবহনের ট্যাবলো। তাদের থিম ছিল, ‘উড়াল’ প্রকল্প। যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন ছোট ছোট শহরকে বিমানপথে যুক্ত করা হচ্ছে।
দিল্লির রাজপথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান প্রদর্শন কেন্দ্রের। নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তরফে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ ট্যাবলো। সেখানে তার আবক্ষমূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তার অবদান তুলে ধরা হয়েছিল। সঙ্গে শোনা গেলো নেতাজির কণ্ঠস্বরও।
তবে শো স্টপার ছিল অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে। বৃহত্তম ‘ফ্লাইপাস্ট’ প্রদর্শিত হয় দিল্লির আকাশে। মেঘের চাদর সরিয়ে আকাশে কারিকুরি দেখায় চিনুক-জাগুয়ার-রাফায়েল। তারা কখনও গঠন করেছে রুদ্রের আকার, কখনও বা তেরঙ্গার আকৃতি, আবার কখনও একলব্য। নজর কেড়েছে রাফায়েল, জাগুয়ার, মিগ-১৯ এবং এসইউ-২০-এর ‘বাজ’ ফরমেশনও।