সাতক্ষীরায় তালায় দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেওয়ায় স্বামী মেহেদী হাসানের (২৮) গোপানাঙ্গ কোটে দিয়েছে স্ত্রী। সোমবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ভারসা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

মেহেদী হাসান ভারসা গ্রামের নবাব আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় স্ত্রী শারমিন খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বকশিয়া গ্রামের সাজ্জাদ মোড়লের মেয়ে শারমিনের সাথে বিয়ে হয় মেহেদীর। বর্তমানে তাদের ঘরে ৪ বছর বয়সী পুত্রসন্তান আছে। পাটকেলঘাটা বাজারে মেহেদী হাসানের একটি থাই গ্লাাসের দোকান রয়েছে। দোকানে মেহেদীর সাথে অন্য নারীর পরোকীয়া সন্দেহে বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে প্রায় অশান্তি লেগে থাকতো। এর জেরে গত পনের দিন ধরে মেহেদী দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ কারণে এই পনের দিন দুজন পৃথকভাবে বসবাস করছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় স্ত্রী কৌশলে তাকে ছেলের সাথে ঘরে একই বিছানায় ঘুমানোর জন্য বলে। অতঃপর মেহেদী ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর গোপানাঙ্গ কোটে দেয় স্ত্রী। মেহেদী বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় স্ত্রী শারমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ।

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার জানান, ঘটনার পর শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মেহেদীর পিতা নওয়াব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।

বৈশাখী নিউজ/ এপি