ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ এপ্রিল তাই শুধু একটি দিবস মাত্র নয়- বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসের পথক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আজ সকাল ১১.০০ টায় ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত "ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে
বঙ্গবন্ধুর নামে এই অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় দিকনির্দেশনাসহ দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকে এ দেশের অগণিত কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সেনাসদস্যরা দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ আর আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের সফল পরিণতি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকার একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সরকারের মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সব প্রকার নীতি নির্ধারণসহ যুদ্ধের কৌশলগত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গভীর প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকারের মেধাবী নেতৃত্বে পাকিস্তান পরাজিত হয়। যুদ্ধরত একটি জাতিকে, একটি সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীকে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল এই মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ তানভীর হাসান রুমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ইসলামপুর এমএ ছামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাছের চার্লেস চৌধুরী, ইসলাম পুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন, সফিকুর রহমান শিবলী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।