বাইডেন টেক্সাস স্কুলের গণহত্যায় সান্ত্বনা দিতে উভালদে গেছেন

আপডেট: May 30, 2022 |

টেক্সাসে স্কুলে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে মার্কিন বিচার বিভাগ। রোববার (২৯ মে) নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্কুল পরিদর্শনে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে, টেক্সাসে হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই টেনেসি অঙ্গরাজ্যে গোলাগুলিতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। খবর এপি, এবিসি নিউজের।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের উভালদে শহরের স্কুলে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রোববার (২৯ মে) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন ভবিষ্যতে গণহত্যা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ মে) টেক্সাসের স্যান অ্যান্তোনিওর ইউভালডি শহরের ওই স্কুলে প্রবেশ করে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ। সে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৯ শিশুশিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে হত্যা করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ওই হামলাকারীও নিহত হয়।

ওই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাইডেন ও তার স্ত্রী কয়েক ঘণ্টা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট ওই শহরটিতে থাকার পরিকল্পনা করেছেন। এরপর বাইডেন একটি ক্যাথলিক গণসমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নিহত কোমলমতি শিশুদের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এ সময় তারা নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের জানান সমবেদনা। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে শোনেন ভয়াবহ সেই ঘটনার বর্ণনা। পরে স্থানীয় একটি গির্জায় প্রার্থনায় অংশ নেন।

এদিকে, ভয়াবহ ওই হামলার ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। টেক্সাসের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান, স্টিভেন ম্যাকক্র শুক্রবার বলেছেন, শুটারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাটা ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ ছিল। এ ঘটনায় পুলিশের কেমন ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি উভালদেতে স্কুলের বাইরে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন।

টেক্সাসের প্রাইমারি স্কুলে হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বন্দুক হামলায় রক্ত ঝরল যুক্তরাষ্ট্রে। শনিবার (২৮ মে) রাতে টেনেসি শহরের উপকণ্ঠে ছাটানুগা শহরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ জানায়, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরাপত্তা বাহিনী। তাৎক্ষিণকভাবে হামলার কারণ জানা না গেলেও আহতরা সবাই তরুণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর এখন পর্যন্ত ২১২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রাণ হারিয়েছে হাজারো মানুষ। এমন হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এখনই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কার করার ওপর জোর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, আইন কঠোর করে এর কঠিন ও কার্যকর প্রয়োগ দরকার। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, বন্দুক হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর