দলের জন্য খেলবেন সবকিছু ঠিক থাকবে : সুজন

আপডেট: September 1, 2022 |

এশিয়া কাপের আগে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি মানসিকতা বদলে দেওয়ার আওয়াজ উঠেছিল। ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলার লাইসেন্স দিয়েছিলেন বোর্ড কর্তারা। কিন্তু এশিয়া কাপের আফগানিস্তানের বিপক্ষে তার ছিঁটেফোটাও দেখা গেল না। বিষয়টি নিয়ে খুব বিরক্ত টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
বলার পরও ক্রিকেটারদের সেই পুরনো মানসিকতার কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে কি জায়গা হারানোর ভয় থেকেই ক্রিকেটাররা রান করার দিকে মনযোগ দিচ্ছেন?
সংবাদ সম্মেলনে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি যতক্ষণ আপনি দলের জন্য খেলবেন সবকিছু ঠিক থাকবে। দলের জন্য খেলতে হবে সত্যি কথা। আপনার যদি জায়গা হারানোর ভয় থাকে তাহলে আপনি কোনদিনই আন্তর্জাতিক ম্যাচে পারফর্ম করতে পারবেন না। বিশেষ করে এই সংস্করণে (টি-টোয়েন্টি)। টেস্ট ম্যাচে আপনি স্বার্থপর হতে পারেন। আপনি ৩০০ বল খেলে ১০০ করেন, আপনাকে কেউ কিছু বলবে না। তখন সবাই বলবে দারুণ ব্যাটিং করেছে। কিন্তু এই সংস্করণে (টি-টোয়েন্টি) ৩০০ বল খেলে ১০০ করলে তো হবে না। ৩০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলে তো আমরা জিততে পারবো না খেলায়। ‘

সুজন আরও বলেন, ‘সুতরাং এই সংস্করণে আমরা যেটা বলি ফিয়ারলেস খেলার কথা, এই কথাটার মানে হচ্ছে এটাই আমরা যাতে ভয়ডর ছাড়া (ক্রিকে খেলা)। আমি যদি জায়গা (হারানোর) ভয় পাই, যদি দুই ম্যাচ না খেলি..। আমরা কথা হচ্ছে আপনি যদি ইন্টেন্ট দেখিয়ে আউট হন আমরা এটা গ্রহণ করব। আমার মনে হয় সবাই এখন ক্রিকেট বুঝে, সবাই বুঝবে। কিন্তু আপনি যদি ইন্টেন্ট না দেখান তাহলে মনে হয় আপনার দলে থাকার যোগ্যতাই নেই। সত্যি কথা বলতে আমি যেটা সহজ মনে করি। ‘

আফগান ব্যাটারদের উদাহরণ টেনে সুজন বলেন, ‘আপনি যদি জাজাইয়ের কথা বলেন বা গুরবাজের কথা বলেন তারা কিন্তু ট্যাকটিক্যালি এত স্ট্রং না। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বল করলে আটকানো যেতে পারে। কিন্তু তারা সেভাবে ব্যাটিং করলে, আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলছে। আমাদের বাকিদের ক্যারিয়ারটা দেখেন। সুতরাং তারা যদি পারে আমরা কেন এই ইন্টেন্ট দেখাতে পারি না। আপনি চিন্তা করছেন আমি যদি এই ম্যাচে রান না করি তাহলে দল থেকে বাদ পড়ে যেতে হবে। এই চিন্তা যখন করবেন তখন ভালো ক্রিকেট কীভাবে খেলবেন? আমি যেটা বলি মানসিকতার পরিবর্তন করা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে তো কেউ চিরজীবন খেলবে না। সরে যেতে হবে, কেউ ভালো খেলবে। আপনার যখন সময় আসবে আপনি যেন তখন আপনার সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেন। দেশের জন্য খেলতে পারেন, এমন কিছু করতে হবে যাতে মানুষ বলে আপনার জন্য আজকে ম্যাচ জিতেছে। আপনি প্রতিদিন ম্যাচ জেতাতে পারবেন না। আপনি যদি চারটা-পাঁচটা ম্যাচ খেলেন, একটা জেতাতে পারেন এবং দল হিসেবে খেলতে পারেন তখন একটা দল সফল হবে। ‘

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর