এখনই বাড়ছে না গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট: November 21, 2022 |

পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও তা গ্রাহকদের ওপর এখনই প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সচিবালয়ে সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিইআরসি জেনারেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আমাদের এখানে জেনারেশন করতে গিয়ে মূল্য বেড়ে গেছে, তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। সে জন্য মূল্যটা সমন্বয় করার জন্য বিইআরসি যাচাই-বাছাই করে ঘোষণা দিয়েছে।

‘গ্রাহক পর্যায়ে কতটুকু প্রভাবে পড়বে এখন তো বলতে পারছি না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। দামের সঙ্গে কিছুটা সমন্বয় করতে চাই। এখন যেটা হয়েছে, সেটা হয়তো হবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করেছে বিইআরসি।

এর মধ্য দিয়ে পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়াল সরকার। নতুন এ মূল্য ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমার মনে হয় না পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এটার কোনো প্রভাব পড়বে না।

‘গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না, তা বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে। আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না। গ্রাহক পর্যায়ে যাতে স্বস্তি দেয়া যায়, সেই বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করব। এখন যেটা (দাম বৃদ্ধি) হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে নয়।’

নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমি বাড়ানোর কথা তো বলিনি একবারও। এটা কী নির্বাচনের এক বছর নাকি দুই বছর আগে, সেটা বিষয় নয়; এখন সারা বিশ্বেই দাম সমন্বয় হচ্ছে।

‘কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে দাম প্রভাবিত হচ্ছে। ৭ ডলারের গ্যাস ৩০ ডলারে কিনতে হয়।’

বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সরবরাহ এখন আমরা মোটামুটি অ্যাডজাস্ট করে ফেলেছি। আমরা আশাবাদী, মোটামুটি এখন ভালো পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। যে ঘাটতিটা ছিল, তা আস্তে আস্তে পূরণ হয়ে যাচ্ছে।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর