বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১২৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৮১ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৭ হাজার ২৫ জন। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ২৪৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছেন ২১১ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৮ জন এবং মারা গেছেন ২৫৫ জন। হাঙ্গেরিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০৪ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫২ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫১ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।

তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৪১ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৮ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৭০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৩৫৯ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।