তানোরে ইউপি চেয়ারম্যান-সদ্যর সেচ বাণিজ্য 

আপডেট: January 25, 2023 |

তানোর,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু ও সদস্য (মেম্বার) আবুল হাসানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে’।

জানা গেছে, তালন্দ ইউপির লালপুর মৌজার গভীর নলকুপের অপারেটর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বাবু ও ইউপি সদস্য আবুল হাসান সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় করছেন।

এঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার স্কীমের কৃষকেরা সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন।

এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভাইস-চেয়ারম্যান বিষয়টি বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলীকে অবগত করেন। এতে সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গভীর নলকুপে সর্বোচ্চ ১১শ’ টাকা ও মটরে সর্বোচ্চ ১৫শ’ টাকা নেয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন,  শুধু সেচ চার্জ বেশী না কৃষকের জমি প্রজেক্টে কন্টাক দিয়েও ঠিকমত টাকা দেয় না, বলতে গেলে তাদের কাছে কৃষকেরা জিম্মি।লীজ দিয়েও দেয় না টাকা এমন অভিযোগ অহরহ।
চেয়ারম্যান ও মেম্বারের এমন হারে চরম অতিষ্ঠ কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনা করা হলে যেখানে এক বিঘা আলুর জমিতে সেচ বাবদ খরচ হয় সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা।
সেখানে এক বিঘা জমিতে সেচ চার্জ সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নিতে পারেন।কিন্ত্ত দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা সেচ চার্জ আদায় এটা জুলুম ব্যতিত কিছু নয়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, উপজেলার লালপুর মৌজায় অবস্থিত তিনটি গভীর নলকুপের অপারেটর যথাক্রমে
চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বাবু, মেম্বার আবুল হাসান ও হাবিবুর রহমান।
তারা সিন্ডিকেট ও সেচ নীতিমালা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় করছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ করে দেয়, তায় প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর ইউপি সদস্য আবুল হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গভীর নলকূপের ট্রান্সফার্মার নষ্ট হওয়াসহ নানা কারনে কৃষকদের সাথে পরামর্শ করে সেচ হার নির্ধারন করা হয়েছে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান অপারেটর নাজিম উদ্দিন বাবুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।তিনি চেয়ারম্যান হয়েও দুটি গভীর নলকূপ পরিচালনা করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত সেচ হার নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Share Now

এই বিভাগের আরও খবর