তানোরে সরকারি সম্পত্তির বাঁশঝাড় নিধন

আপডেট: February 9, 2023 |
Boishakhinews24.net 77
print news
আলিফ,তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কাদিপুর গ্রামের প্রভাবশালী মৃত খিদির মন্ডলের পুত্র মুকবুল হোসেন ও হারেস উদ্দিনের পুত্র হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তির বাঁশঝাড়সহ দুটি বড় সাইজের তাজা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।এঘটনায় গ্রামবাসীর চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনা স্থলে গিয়ে সরকারী সম্পত্তিতে প্রায় শতাধিক কাটা বাঁশ জব্দ করে ঘটনা স্থলে জমা রেখে বাঁশ কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার কামারগাঁ ইউপির কাদিরপুর মৌজায় ৩৪ দাগে ৭২ শতক সম্পত্তি জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা এবং এখানো নকশায় রাস্তা বলে উল্লেখ রয়েছে।কিন্ত্ত কাদিরপুর গ্রামের প্রভাবশালী মকবুল হোসেন ও হারেস উদ্দিন কৌশলে সরকারি সম্পত্তি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে বাঁশঝাড়ের বাঁশসহ দুটি বড় সাইজের তাজা গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও গ্রামের সিংড়াপুকুর পাড়ের প্রায় শতবর্ষী একটি তাজা গাছে কেটে নিয়েছেন আব্দুস সালামের পুত্র হুমায়ন। কিন্ত্ত তারা বিত্তবান প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেন না। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন আজ বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারী দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক বাঁশঝাড়ের প্রায় শতাধিক বাঁশ কেটেছে ও আরো কাটছে। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, মুকবুল ও হারেস তাদের কাছে প্রতিটি বাঁশ ৩৪ টাকা দামে বিক্রি করেছেন।
অথচ বাজারে একটি বাঁশের মুল্য কমপক্ষে দেড়শ’ টাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটতে গ্রামবাসী বাধা দিতে গেলে হারুন অর রশিদ ও হুমায়ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মুকবুল হোসেন ও হারেস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো গাছ কাটা হয়নি, তবে বাঁশঝাড়ের বাঁশগুলো তারা লাগিয়েছেন তাই, তারা বিক্রি করেছেন। তারা বলেন, সরকারি সম্পত্তি হলে সরকারের সঙ্গে বুঝবো গ্রামবাসি কেনো বাধা দিবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিউর রহমান জানান, সরকারী সম্পত্তির বাঁশ কাঁটার কথা গ্রামবাসী চেয়ারম্যান সাহেবকে অবহিত করলে চেয়ারম্যান সাহেব তাকে খোঁজ খবর নিয়ে বাঁশ গুলো জব্দ করতে বলেন।
তাই তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাঁশগুলো জব্দ ও বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বাঁশ কাটা বন্ধ রাখতে বলে এসেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এবিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Share Now

এই বিভাগের আরও খবর