আলিফ হোসেন, তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার ময়েনপুর মৌজায় অবস্থিত
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর নলকূপ অপারেটরের দৌরাত্ম্যে স্থানীয় কৃষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার অপারেটরের অপসারণ ও স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবিতে বিএমডিএ'র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ময়েনপুর মহল্লার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র আনারুল ইসলাম অপারেটর হবার পর থেকে কৃষকদের হয়রানী- দুর্ভোগ বেড়েছে। ক্ষমতাসীন দলের দাপট দেখিয়ে ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন।
এছাড়াও অন্য নলকুপ স্কীমে অবৈধভাবে সেচ দেয়া হচ্ছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রিপেইড কার্ডে ঘন্টা প্রতি কুড়ি টাকা ও সিরিয়ালের নামে দশ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার করা হোক।
স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম (৩৫) ও বাক্কার আলী (৪০) অভিযোগ করে বলেন, তিনি নিজের পুকুরে পানি দেন আর সময় মতো সাধারণ কৃষকের ফসলের জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে না। এমনকি কার্ডে পানি নিতেও ঘন্টায় অপারেটর চার্জ ২০ টাাকা ও সিরিয়াল ১০ টাকা মোট ৩০ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আবার জোরপূর্বক কৃষকের জমি অন্যর কাছে ইজারা দিতে বাধ্য করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর আনারুল ইসলাম বলেন, কৃষকের সব অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, একবার মেকানিক ডিপ ঘরে এলে দেড় থেকে দু'হাজার টাকা খরচ হয়, অপারেটর হতে প্রায লাখ টাকা লাগে এসব কি তিনি জমি বিক্রি করে দিবেন।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আনারুলকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/