সোহরাব হোসেন, সিংগাইর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ও নিয়োগ কমিটির সভাপতির কাছে আবেদন করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে এক চাকরি প্রত্যাশী।
জানা গেছে , গত বছরের ১৬ আগস্ট মানিকগঞ্জ জেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতে সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নের দক্ষিণ জামশা গ্রামের ২/খ ইউনিটে লিখিত পরীক্ষায় ৫ জন উত্তীর্ন হন। তারা হলেন পলি আক্তার , মনোয়ারা আক্তার, সোনিয়া আক্তার, সেলিনা আক্তার ও রিপনা আক্তার। এদের মধ্যে মনোয়ারা একমাত্র সংশ্লিষ্ট এলাকার ২/খ ইউনিটের বাসিন্দা। অপর ৪জন ওই ইউনিয়নের ২/ক ইউনিটের বাসিন্দা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যায়নপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নিয়োগ প্রাপ্ত পলি আক্তার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেও জানা যায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পলি আক্তারকে পরিবার কল্যাণ সহকারি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এতে শর্ত পূরনকারী প্রকৃত চাকরি প্রার্থী ২/খ ইউনিটের মনোয়ারা আক্তার গত ২৬ জানুয়ারি নিয়োগ কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি মানিকগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খানকে তদন্ত দেয়া হয়। তদন্তে ২/ক ইউনিট ও ওয়ার্ড উল্লেখ না করে পলি আক্তারের পক্ষে রিপোর্ট দিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে কাজে যোগদানসহ বেতনভাতা পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করে চিঠি দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে পলি আক্তারের ইউনিট উল্লেখ না করে শুধু স্থায়ী ঠিকানা দক্ষিণ জামশা গ্রাম উল্লেখ করেন।
এতে, অভিযোগকারী মনোয়ারা আক্তার তদন্ত প্রতিবেদন ও নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। পুনরায় সুষ্ঠ তদন্তের দাবীও জানিয়েছেন তিনি। নিয়োগ পাওয়া প্রার্থী পলি আক্তার জানান, আমি ২/ক ইউনিটের হলেও বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আমার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক আছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবিএম শাহিনুজ্জামান বলেন, সার্কুলার অনুযায়ী দক্ষিণ জামশা গ্রামের বাসিন্দা এবং পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করায় পলি আক্তারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখানে ইউনিট মুখ্য বিষয় না। জেলা প্রশাসক বরাবর মনোয়ারা আক্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে নিয়োগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেই হিসেবে পলি আক্তার যোগদান করেছেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, এসব টেলিফোনে বলার বিষয় না। যে ইউনিটে নিয়োগ দেয়ার কথা সেই ইউনিটেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি বুঝবেন না। সব কিছু অফিসে আছে, কি চান লিখিত আবেদন করে নিয়ে যান।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/