অস্ট্রেলিয়ান আউটব্যাকের প্রত্যন্ত শহরের কাছের একটি নদীর বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে লাখ লাখ মৃত ও পচা মাছ আটকে রয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে ওই নদীর প্রবাহ। ধারণা করা হচ্ছে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নদীর মাছগুলোর মৃত্যু হয়েছে। প্রাদেশিক নদী কর্তৃপক্ষ বলছে, চলমান দাবদাহের প্রভাবে ডারলিং-বাকা নামের ওই নদীতে এত পরিমাণ মাছের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি
এক ফেসবুক পোস্টে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপার্টমেন্ট অব প্রাইমারি ইন্ডাস্ট্রিস (ডিপিআই) বলেছে, দাবদাহের ফলে গোটা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ায় এমন চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবদাহ আরও নিয়মিত হয়ে উঠেছে। একই কারণে দাবদাহ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। শিল্পযুগ শুরুর পর থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার কার্বনের মতো গ্যাসের নিঃসরণ না কমালে তাপমাত্রা আরও বাড়তে থাকবে।
মেনিন্দি শহরের স্থানীয় বাসিন্দা গ্র্যামি ম্যাকর্যাব বিবিসিকে বলেন, নদীর ৩০ কিলোমিটার ব্যাপী মরা মাছগুলো ভেসে উঠেছে। তিনি এই ঘটনাকে পরাবাস্তব বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা মনে করছেন, আরও মাছের মৃত্যু হবে। কারণ মরা মাছগুলো পচে পানি থেকে আরও বেশি অক্সিজেন টেনে নিচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পশ্চিমের এই শহরে পাঁচশ'র মতো লোকের বাস। ডারলিং-বাকা নদীটি অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় নদী ব্যবস্থার মারে ডারলিং অববাহিকার অংশ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ডিপিআই বলছে, এত পরিমাণ মাছের মৃত্যু স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ করেছে। শনিবার মেনিন্দি শহরের তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা গ্র্যামি ম্যাকর্যাব বলেন, পানি সরবরাহের কারণে শহরটি ডারলিং-বাকা নদীর ওপর নির্ভরশীল। আমরা ধোয়ামোছার কাজ এবং গোসলের জন্য নদীর পানি ব্যবহার করি। এখন লোকজন তাদের প্রয়োজনে আর নদীর পানি ব্যবহার করতে পারবে না।
মারে ডারলিং অববাহিকা কর্তৃপক্ষ বলছে, কৃষি, শিল্প এবং লোকজনের নিত্যদিনের কাজে নদীর পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এই কারণেই নদীতে কম পরিমাণে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/