সিলেটে ক্রেতাশুন্য বাজারে মোরগের দামে ভাটা পড়েছে

আপডেট: March 28, 2023 |
inbound3510152891355494201
print news

মিজান মোহাম্মদ : সোনার দামের সাথে পাল্লা দিয়ে একের পর এক রেকর্ড করে ইতিহাস গড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। রোজা আসতে না আসতেই দাম এতটাই আকাশ ছোঁয়া হয়েছে যে, তা চলে গেছে মধ্যবিত্ত- নিম্ন মধ্যবিত্তদের নাগালেরও বাহিরে।

দামের তাপে ব্রয়লার মুরগীর বিমুখ হয়েছেন ক্রেতারা। ফলে ক্রেতাশুন্য বাজারে মোরগের দামে ভাটা পড়েছে।

জানা যায়, কয়েকদিনে ক্রয়-বিক্রয়ে ভাটা পড়ায় তলানিতে ব্রয়লার মোরগ ব্যবসায়ীরা। তাই ব্যবসা ও বাজার ধরে রাখতে এবার দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

রমজানকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ক্রমাগত আকাশ ছোঁয়া দাম বাড়ানো হয় ব্রয়লার মোরগের। এতে করে বাজার মন্দা এমনকি ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে মোরগের।

অধিকাংশ মোরগ ও পোল্টি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হন। তাই শেষ পর্যন্ত ব্রয়রার মোরগের বিপণন ও বাজার টিকিয়ে রাখতে সিন্ডিকেট কমাতে শুরু করেছে মোরগের দাম।

খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হলে খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।

রোববার নগরের বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০-২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ২৭০ থেকে ৪০ টাকাতে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০-২৮০ টাকায়, কোথাও আবার ৩০০ টাকায়। আর সোনালি মুরগির দাম ছিলো ৩৮০-৩৯০ টাকা।

রিকাবীবাজারের বাজারের ব্রয়লার মুরগীর ব্যবসায়ী ছামু মিয়া বলেন- সব ধরনের মোরগ আমরা পাইকারি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে নিয়ে আসি।

সেখান থেকে যদি আমাদের বেশি দামে মোরগ সাপ্লাই দেওয়া হয়, তবে আমরাও বেশি দামে বিক্রয় করি। বড়ছোড় ৮-১০ টাকা আমরা কেজিতে লাভ করি। এর বেশি নয়।

মোরগের বাজার বলে খ্যাত নগরের বন্দর লালবাজার গিয়ে দেখা গেছে, মুরগির দোকানে ক্রেতা নেই বললেই চলে। সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে শুরু করে।

বাজারের বিক্রেতারা জানান, রোববার ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ক্রমশ দাম আরো কমতে পারে বলে জানান তারা।

জয়বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট ছড়াকার অজিত রায় ভজন বলেন, মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সংস্কৃতি আমাদের দীর্ঘদিনের।

আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা আমাদের পকেট কেটে তাদের আরাম আয়াশের পথ সুগম করছে। যা সত্যিই আমাদের জাতির জন্য লজ্জাজনক।

সরকারের কঠোর নজরদারি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা ব্যতীত এ সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়।’

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর