প্রাথমিক শিক্ষক: আট পদে বদলির জন্য ১ হাজার ৪৬৮ আবেদন

আপডেট: April 11, 2023 |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগের মধ্যে অনলাইনে বদলির আবেদন গ্রহণের শেষ দিন ছিলো ১৫ মার্চ পর্যন্ত। শুধু মাত্র ঢাকায় বদলি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন কয়েক হাজার শিক্ষক। দেশের ১২ সিটি করপোরেশনে বদলি হয়ে যাওয়ার জন্য ৬ হাজারের বেশি আবেদন করেছেন। যদিও বদলিযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা নগণ্য।

তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার ৩৪২টি সরকারি স্কুলে শূন্য পদের সংখ্যা ৮২টি। এর মধ্যে ১০ শতাংশ পদ বদলির মাধ্যমে পূরণ করা যাবে। সে অনুযায়ী বদলি হয়ে ঢাকায় আসার সুযোগ রয়েছে মাত্র আট জনের।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সিটি করপোরেশনে বদলি হওয়ার জন্য ৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের ডিও (আধা সরকারি পত্র) জমা হয়েছে ১৭৩টি।

অন্য জায়গা থেকে সিটি করপোরেশনের ভেতরে বা আন্তঃসিটি করপোরেশনে বদলি গত ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। চলে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। ৭ ও ৮ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিস প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ৯ এপ্রিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও ১০ এপ্রিল বিভাগীয় উপপরিচালক প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার কথা। আগামীকাল ১২ এপ্রিল বদলিযোগ্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হবে। অন্যদিকে সোমবার (১০ এপ্রিল) দলির আবেদন সংক্রান্ত সার্ভার ডাউন থাকার কারণে কোনো কাজ করতে পারেননি বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা।

সিটি করপোরেশনে বদলির জন্য পাঁচটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থল, চাকরির আগে বিয়ে হয়ে থাকলে স্বামী/স্ত্রীর স্থায়ী ঠিকানা, অসুস্থতা, চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা ও বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত শিক্ষকের পিতা বা বর্তমান স্থায়ী ঠিকানায় বদলির ওপর নম্বর দেয়া হবে। যে সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন সে অনুযায়ী বদলির সুযোগ পাবেন।

তবে অনলাইনে আবেদন শুরুর আগে প্রায় শতাধিক প্রার্থী বিভিন্ন স্থানে বদলি হয়েছেন। অন্য সব বদলির আদেশ ওয়েবসাইটে দেয়া হলেও এই আদেশগুলো ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। যারা বদলি হয়েছেন তারা সশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে গিয়ে আদেশপত্র নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীতে ১৬০টি শূন্য পদ থাকলেও এক মাস পরে এই শূন্য পদ গিয়ে দাঁড়ায় ৮২-তে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের অভিযোগ, ৭৮ পদে গোপন আদেশে বদলি করা হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর