বঙ্গবাজারে আজ থেকে ব্যবসা চলবে চৌকি বিছিয়ে

আপডেট: April 12, 2023 |

রাজধানীর বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দোকানিদের জন্য অস্থায়ী চৌকি বসানোর কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তাদের মালামাল নিয়ে চৌকিতে বসার কথা রয়েছে। কিন্তু সব ব্যবসায়ী সেখানে জায়গা পাবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে।

এছাড়া এমন অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের পুড়ে যাওয়া মার্কেটে সাত থেকে দশটি দোকানও ছিল, তারা এখন সেসব দোকানের পজিশন হাতছাড়া হওয়ার আতঙ্কে আছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে ভস্ম হওয়া জায়গায় সব ব্যবসায়ীর জন্য চৌকি বসানো সম্ভব নয়। ফলে তারা কোথায় যাবেন, কীভাবে দোকান দেবেন তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির নেতারা জানান, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে ১ দশমিক ৭৯ একর জমি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের বসাতে সেখানে বালু ফেলে ইট বিছানো হচ্ছে। এরই মধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালু এবং প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে।

পুরো এলাকায় প্রায় ২ দশমিক ৫ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালু ফেলা হবে। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বালু ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্টরা কাজ করে চলেছেন।

কাঠ ও টিনের তৈরি তিনতলা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে চারটি আলাদা ইউনিট ছিল। সেগুলো হলো- বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, মহানগরী ও আদর্শ মার্কেট। সব কটি ইউনিট মিলে দোকান ছিল ২ হাজার ৯৬১টি। এর মধ্যে বঙ্গবাজার ইউনিটে ৮৬৩, গুলিস্তান ইউনিটে ৮২৮, মহানগরীতে ৫৯৯ ও আদর্শ ইউনিটে ৬৭১টি দোকান ছিল।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের আদর্শ মার্কেট ইউনিটের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী বলেন, অবশ্যই সবাইকে বসানো যাবে না। সর্বসাকল্যে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ চৌকি মার্কেটের জায়গায় বসানো যাবে বলে মনে হচ্ছে। ১০০ চৌকি দিয়ে ২০০ জনকে পুনর্বাসিত করা যায় কি না আমরা দেখব। আর যারা বসার জায়গা পাবে না, তাদের বিষয়ে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি জানান, আদর্শ মার্কেট ইউনিটে মোট দোকান ছিল ৬৭১টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ চৌকি বসানো যাবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর