রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ বুধবার (২১ জুন)। এর আগে সোমবার (১৯ জুন) রাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা। দুই সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।
পুরো নির্বাচন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় (সিসিটিভি) পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ইসি। শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজশাহী ও সিলেটে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
সোমবার দিনভর সিলেটে বৃষ্টি হলেও থেমে থাকেননি প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তের প্রচারে প্রার্থীরা পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সোমবার রাতে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে শেষ নির্বাচনি জনসভা করেন। জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের শেষ নির্বাচনি জনসভা হয় নগরীর রিকাবীবাজার পয়েন্টে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য। ৪২টি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ১৯০টি। তার মধ্যে ১৩২টিই ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। সিলেটে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫১টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি রিজার্ভ ফোর্স এবং প্রত্যেক জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ফোর্স থাকবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মেয়র পদে আটজন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনি মাঠে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাতজন বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি পাঁচ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছে। এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে নির্বাচনি সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়া হবে।
রাজশাহীতে প্রচারে শেষদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ারকে সক্রিয় দেখা গেছে। চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন বর্জন করেছেন।
অপরদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহী সিটির ১৫৫ কেন্দ্রে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৪ হাজার সদস্য কাজ করবে। এর মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে থাকবে সাড়ে তিন হাজারের বেশি পুলিশ। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ২৫০ জন র্যাব সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া ভোটের মাঠে থাকবে ৭ প্লাটুন বিজিবি।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৫৫টি। এরমধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। নির্বাচনে ২৯ ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০ সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৬ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/