পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিনে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সব মিলিয়ে সাড়ে চার লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করেছে ট্যানারি মালিকরা। এবারে সব মিলিয়ে এক কোটি পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় এবছর চামড়ার বাজারও ভালো বলে জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তায় ছোট আকারের গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি আকারের গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা আর বড় আকারের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

শুক্রবার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত ২৫ জুন বৈঠকে ঢাকায় ৩ টাকা, ঢাকার বাইরে ৫ টাকা বাড়িয়ে গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়। ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যা গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম ৪৭ থেকে ৫২ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

পুরান ঢাকার পোস্তার কাঁচা চামড়ার আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিনস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. টিপু সুলতান বলেন, এবার প্রথম দিন এক লাখ পিস গরুর চামড়া সংগ্রহের টার্গেট করেছিলাম।

মোটামুটি সংগ্রহ হয়েছে। আজ ও আগামীকালও সংগ্রহ হবে। এবার বাজারে তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না। সবাই সঠিক দামেই কেনাবেচা করেছে। তবে ট্যানারি মালিকরা যদি আড়তদারদের পাওনা অর্থ দিয়ে দিতেন তাহলে বেশি চামড়া সংগ্রহ করতে পারতাম।

ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কোরবানির চামড়ার বড় অংশই সংরক্ষণ করেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।

পাশাপাশি ট্যানারি মালিকরা সরাসরি কিছুসংখ্যক কাঁচা চামড়া কেনেন। ঈদের দিন থেকে আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। আজকে সংগ্রহ করা হবে। এবার সার্বিক দিক বিবেচনায় চামড়ার বাজার ভালো ছিল।