শাহজাহান আলী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামে খালা ও তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও ডাকাতি করার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই ) বেলা সাড়ে ১১ টায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলন বলেন, গণধর্ষণের শিকার খালা ও তার ভাগ্নি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন।
গত ১২ জুলাই তারা বাসযোগে নিজ এলাকা রংপুরে যাচ্ছিলেন।
বগুড়ায় এসে বাসটি নষ্ট হয়, রাত বেশি হওয়ায় ওই গার্মেন্টস কর্মী খালার রব্বানী নামে বগুড়ার এক সহকর্মীর অনুরোধে তাঁর বন্ধু কাহালু থানাধীন পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে অবস্থান করেন।
আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে সারাদিন থাকার পর তাঁর সন্ধ্যায় ভ্যান যোগে নিজ এলাকা রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
পথিমধ্যে পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামস্থ বড় পুকুর ব্রিজের নিকট পৌঁছা মাত্র গ্রেফতারকৃত ৫ জন আসামিরাসহ আরো অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন আসামি তাদের গতিরোধ করে এবং ভিকটিমদের নিকট থাকা নগদ ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
পরে খালা ও তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নিকে পৃথক স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুশলিহার গ্রামের আশরাফ আলী ফকিরের ছেলে আবুল কাশেম মানিক (৩৫), বাগইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে মোঃ রাকিব হাসান (২৩), বাগইল উত্তরপাড়ার মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ শাকিল হোসেন (২৩), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আতিক হাসান প্রান্ত (২২) এবং কুশলিহার পূর্ব পাড়ার মোস্তফা ফকির ওরফে মুস্তা ফকিরের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় ডাকাতিসহ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের আজ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/