যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, জাতির পিতার সকল লড়াই সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব৷ আগস্ট মাস আমাদের জন্য বেদনাদায়ক একটি মাস৷ এ মাসেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অনেককেই হারিয়েছি৷
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৫৫ বছরের জীবনে ১৪ বছর এর অধিক সময় জেলে কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু৷ এই দুর্বিষহ সময়েও বঙ্গমাতা সবকিছু আগলে রেখেছেন৷ বঙ্গবন্ধুর সব রকম পরিস্থিতিতেই বঙ্গমাতা ছায়াসঙ্গী ছিলেন, সাহস যুগিয়েছেন৷
তিনি বলেন, পরিবার তথা স্ত্রীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু যে সমর্থন পেয়েছেন এ সমর্থনই বঙ্গবন্ধুকে টিকে থাকতে এবং দেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন৷ সব রকম পরিস্থিতি মোকাবেলার রসদ যুগিয়েছে৷
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন বেগম মুজিব। জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জাতির পিতার পাশে থেকে দেশ ও জাতির মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। তার কর্মের মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন একটি সংগ্রামমুখর জীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যে জীবন কোটি জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের সাথে দ্বিধাহীনভাবে যুক্ত হয়েছিল ত্যাগ ও নিপীড়ন মোকাবেলা করবার দৃপ্ত প্রতিজ্ঞায়।
আলোচনা সভায় যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকীয় : নাহার ম্যানশন (৩য় তলা), ১৫০ মতিঝিল ঢাকা।
নিউজ ও কমার্শিয়াল : মুন কমপ্লেক্স (৩য় তলা) ৫৯/১, পাটুয়াটুলি, ঢাকা।
ই-মেইল: boishakhinews24.net@gmail.com
হট লাইন: ০১৬৮৮৫০৫৩৫৬
https://www.boishakhinews24.net/